বর্ষার জলে বানভাসি এবং কৃষি জমি নষ্ট হবে বিলোনিয়া শহর সংলগ্ন মুহুরি নদীর উত্তর পাড়ে সুকান্ত নগর, দক্ষিণ ভারত চন্দ্র নগর, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র নগর এবং ঈশান চন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষের। জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বিলোনিয়া শহরও। কারণ ভারতীয় সীমান্তের সুকান্ত নগর এবং দক্ষিণ ভারত চন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বিলোনিয়া,বল্লামুখা এলাকার সীমান্ত সংরক্ষিত ভূমি অর্থাৎ নো ম্যানস ল্যান্ডে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুক্তি অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশ সরকার তাদের এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের কোথাও 80 গজ আবার কোথাও 50 গজেরও কম এলাকায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন দীর্ঘ এক থেকে দেড় কিলোমিটার বাঁধ তৈরি করছে।
এই বাঁধের কাজ প্রায় শেষের পথে। হঠাৎ গ্রামবাসী প্রত্যক্ষ করে এই প্রত্যন্ত এলাকার বন্যার জল যে নালা দিয়ে যেত অবৈধভাবে নির্মিত এই বাঁধের কোথাও জল যাওয়ার রাস্তা রাখা হয়নি। তাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাবাসীরা, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুক্তি ছিল কোন দেশ সীমান্তে কিছু করতে গেলে তা সীমান্তের পিলার থেকে দেড়শো গজ দূরে করতে হবে। বাংলাদেশ একতরফা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কোন কথাই না শুনে এই বাঁধ নির্মাণ করেছে, এই নিয়ে সীমান্তে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
এলাকাবাসী এই বিষয়ে অতি দ্রুত দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন এবং দেশের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন , এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেন। কারণ ইতিমধ্যে বর্ষা শুরু হয়ে গেছে। তাই এলাকাকে বাঁচাতে সরকার এবং প্রশাসন কত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে এলাকাবাসী। জেলাশাসক প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি এবং বিধায়ক দফায় দফায় সীমান্তে অবৈধ নির্মিত এই বাদ পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন, কিন্তু এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।
বাংলাদেশ ১০ থেকে ১২ টি উন্নত মানের ড্রজার নিয়ে দিন-রাত বাঁধ তৈরির কাজ করে চলছে। এই এলাকার জনগণের দাবি ভারতীয় সীমান্তে মফিজ মিঞা ঘাট এলাকার ভেঙে যাওয়া মুহুরী নদীর বাঁধটি দ্রুত নির্মাণ করা, বাংলাদেশ পুরানো জলের নালা বন্ধ করে যে বাঁধ দিয়েছে সে নির্মীয়মান বাঁধের জল নিষ্কাশনের রাস্তা তৈরি করা। অতিসত্বর ভারত এবং বাংলাদেশর সরকার এই বিষয় নিয়ে সমাধানের রাস্তা বের করবেন বলে আশাবাদী অত্র এলাকার কৃষক ও সাধারণ জনগণ।