সোমবার ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকে গাজ়া পরিস্থিতি, নতুন শুল্কনীতির পাশাপাশি পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানকে চাপে রাখার প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়। তার পরেই আলোচনায় সম্মতি দেয় তেহরান।শেষ পর্যন্ত আমেরিকার চাপের মুখে পিছু হটার ইঙ্গিত দিল ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে সরাসরি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজি হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের সরকার। আগামী শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে।
ট্রাম্প মঙ্গলবার প্রথম জানান, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে ইরান। এর পরে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচিও আলোচনার বিষয়ে তেহরানের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আলোচনায় বসতে চলেছি।’’ আরাকচি এর পরে জানান, শনিবার আমেরিকার দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।প্রসঙ্গত, নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইরানকে দু’মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইকে গত মাসে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই চিঠির পরেই আরাকচি ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা খারিজ করে বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে আর কথাবার্তা এগোনোই সম্ভব নয়, যদি না বিশেষ কিছু জিনিস ওরা বদল করে।
ইরান কোনও একগুঁয়েমি থেকে এটা করছে না। ইরানের এই অবস্থান ইতিহাস এবং অভিজ্ঞতার ফল। ওয়াশিংটনকে ওদের নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’’ এর পরে ট্রাম্প সরাসরি ইরানে বোমাবর্ষণের হুমকি দিয়েছিলেন। এই আবহে মঙ্গলবার আলোচনায় সম্মতির কথা জানিয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে এটি সুযোগ এবং পরীক্ষা।’’ঘটনাচক্রে, সোমবার হোয়াইট হাউসে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পরেই ইরানের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘‘শনিবার ইরানের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। আমরা সরাসরি তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সম্ভবত একটি চুক্তি হতে চলেছে।’’ কিন্তু সেই সঙ্গেই ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, ‘‘যদি আলোচনা সফল না হয়, তা হলে ইরানের পক্ষে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।’’ ২০১৮ সালে ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে এসেছিল আমেরিকা। এ বার কি তাঁর উদ্যোগেই নতুন পরমাণু সমঝোতার পথে পা বাড়াবে ওয়াশিংটন-তেহরান?