এক সময়ে কল্যাণপুর মানেই ছিল সন্ত্রাসবাদের দৌরাত্ম। দিনের পর দিন কল্যাণপুরে একের পর এক খুন অপহরণ গণহত্যা রীতিমতো স্বাভাবিক জনজীবনকে বিঘ্নিত করেছিল। বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত কল্যাণপুরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। যদিও এখন স্বাভাবিক জনজীবন কিন্তু তারপরেও দগ দগে ঘা বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। এইরকম এক জনপদ কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আর এস পাড়া এবং সন্নিহিত এলাকা। দীর্ঘ বাম জমানায় একের পর এক শহীদের মৃত্যুবরণ করতে করতে সেই তালিকা ৩৮ এ গিয়ে পৌঁছায়।
আজ সন্ত্রাসবাদের বদ্ধভূমি আর এস পাড়ার বৈরাগী পাড়া স্কুল মাঠে আয়োজিত এক শহীদ স্মরণ সভার মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে ঘৃণা বর্ষণ করা হয়। এই জনসমাবেশে একেবারে শুরুতে উপস্থিত বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বরা বৈরাগী পাড়া স্কুল মাঠের শহীদ বেদীতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। জনসমাবেশের প্রধান বক্তা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদস্য তথা জনজাতি নেতা বিদ্যুৎ দেববর্মা নাতিদীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে বাম জমানার কালো ইতিহাস তুলে ধরেন এর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করে কিভাবে একের পর এক এলাকাকে বদ্ধভূমিতে পরিণত করা হয়েছিল সেই বিষয়গুলো আবারো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরেন বিদ্যুৎ দেববর্মা।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ দেববর্মা সহ অন্যান্য বক্তারা আজকের এই জনসমাবেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বর্ষণ করার পাশাপাশি আগামী দিনে যাতে করে সম্মিলিতভাবে ত্রিপুরা রাজ্যে আর কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদের কালো দিন ফিরে না আসে সেই বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান রাখেন। অন্যান্যদের মাঝে দলের জেলা সভাপতি বিনয় দেববর্মা, জনজাতি নেতৃত্ব ইন্দ্রানী দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি নিতাই বল আলোচনা রাখেন। সভা মঞ্চে বিজেপি নেতৃত্ব সৌমেন গোপ, সরস্বতী দেবনাথ, চয়ন রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।