বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনের নিরিখে নক্ষত্র পতন বলা যেতে পারে। সত্তরের দশক থেকে বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারিগর নেতৃত্ব চঞ্চল মজুমদার আজ কাক ভোরে প্রয়াত হন। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের শ্রমিক রাজনীতির সাথে যুক্ত চঞ্চল মজুমদারের প্রয়াণ নিশ্চিতভাবে বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী শ্রমিক কর্মচারী থেকে শুরু করে সকল অংশের কাছে এক বিরাট ধাক্কা।
দীর্ঘদিন মারণ ব্যাধি ক্যান্সার রোগে ভোগার পর আজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে একসময়ের গাড়ি শ্রমিক থেকে জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা চঞ্চল মজুমদার। প্রয়াত মজুমদারের মরদেহ বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সমূহ থেকে শুরু করে পরিবহন শ্রমিকদের কার্যালয় এবং সিপিআইএম দলের রাজ্য দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হলে বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বরা প্রয়াত নেতৃত্বের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, রতন মজুমদার, দলের সদর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অমল চক্রবর্তী, অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব রতন দাস প্রমূখ উপস্থিত থেকে চঞ্চল মজুমদারের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এদিকে চঞ্চল মজুমদারের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সাথী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে চঞ্চল মজুমদারের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে দাবি করেন ১৯৭০ এর দশকে একজন শ্রমিক হিসেবে ধীরে ধীরে শ্রমিক নেতৃত্ব এবং একটা সময়ে জনপ্রিয় শ্রমিক নেতৃত্ব তৈরি হওয়া চঞ্চল মজুমদার গোটা
রাজ্যের বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী শ্রমিক আন্দোলন সহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিকশিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি দাবী করেছেন বিগত জোট আমল থেকে শুরু করে ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরেও একাধিকবার চঞ্চল মজুমদারের উপর নানান কায়দায় আক্রমণ সংঘটিত করা হলেও আদর্শ থেকে বিচ্যুত করা যায়নি।
নতুন প্রজন্মের যারা রয়েছে তাদের কাছে মানিক দে আবেদন রাখতে গিয়ে দাবি করেন চঞ্চল মজুমদারের মত নেতৃত্বের আদর্শকে অনুসরণ করে এগিয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি শ্রী দে প্রয়াত বাম শ্রমিক নেতার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং চঞ্চল মজুমদারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।