রাজ্যের জল জীবন মিশন প্রকল্পের অধীনে ঘরে ঘরে জল সরবরাহের কাজ নিয়ে ফের উঠল গুণগতমানের অভিযোগ। সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত এন.সি.নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নির্মীয়মান সাপ্লাই পয়েন্টগুলোর নিম্নমানের কাজ দেখে সেগুলি নিজেরাই ভেঙে দিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য কাজ চলছিল। তবে নির্মাণের গুণগতমান নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্য থেকে একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। পানির কলের স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো দুর্বল, রড কম ব্যবহার, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী প্রয়োগের মতো অভিযোগে সরব হন স্থানীয়রা।
এই পরিস্থিতিতে, জল জীবন মিশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এলাকায় পরিদর্শনে যান। সরেজমিনে পরিদর্শন করে তারা দেখেন যে, কল নির্মাণের কাজে মাত্র দুটি রড ব্যবহার করা হয়েছে, যা কাঠামোর স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দপ্তরের কর্মকর্তারা নির্মাণকাজের মান দেখে বিস্মিত হন এবং নিম্নমানের নির্মাণ দেখে নিজেরাই সেগুলি ভেঙে দেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, অমরপুরের এক ঠিকাদার এই নির্মাণের বরাত পেয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, প্রকল্পের মান বজায় না রেখে ঠিকাদার কোনো রকমে কাজ সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। এমন দায়িত্বহীনতার ফলে সরকারি অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়তে পারত।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই অনুমানহীন ও গাফিলতিপূর্ণ কাজের জন্য দায়ী কারা? ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে? ভবিষ্যতে এই ধরনের নির্মাণকাজে স্বচ্ছতা ও গুণগতমান বজায় রাখতে সরকার কি পদক্ষেপ নেবে? এসব প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে, তবে এমন ঘটনায় সরকারের নজরদারি ব্যবস্থা ও দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।