শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মান নিধি দ্বিতীয় পর্যায় এবং এম.পি.এস.বি.ওয়াই স্কিমের সুচনা করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে প্রজ্ঞাভবনে আয়োজিত এইদিনের অনুষ্ঠানের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উন্নয়ন অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মান নিধি চালু করা হয়েছে। কারন প্রাণী পালকরাও কৃষক। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন হলে তবেই রাজ্য ও দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।সেই লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
পশু পালনের প্রতি অনেকে আকৃষ্ট হচ্ছে। তার জন্য নতুন নতুন বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ সালে প্রায় ৫ হাজার প্রাণী পালককে মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মান নিধি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে এইদিন। মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মান নিধি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন কোন গরীব কৃষকের গবাদি পশু কিংবা পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে সর্বাধিক ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিন নতুন নতুন প্রকল্প চালু করার ফলে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হচ্ছে। এইদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, দপ্তরের অধিকর্তা সহ অন্যান্যরা।