প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও রাজ্যের অন্যতম বড় মেলা হিসেবে পরিচিত ‘আশ্রয়’ সামাজিক সংস্থা আয়োজিত দশ দিন ব্যাপী সংহতি মেলা কৈলাশহরের পদ্মেরপাড় এলাকায় আগামী দুসরা জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। দশ দিন ব্যাপী সংহতি মেলাটি দুসরা জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগামী এগারো জানুয়ারি অব্দি চলবে বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন আশ্রয় সামাজিক সংস্থার প্রতিস্টাতা সভাপতি বিধায়ক বিরজিত সিনহা। বাইশ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে বিধায়ক বিরজিত সিনহার কৈলাশহরেরবাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক বিরজিত সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আশ্রয় সামাজিক সংস্থার সহ সভাপতি চন্দহাঁস সিনহা এবং আশ্রয় সামাজিক সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রশেখর সিনহা। সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক বিরজিত সিনহা জানান যে, দশদিন ব্যাপী সংহতি মেলাটি এবছর তেইশ বছরে পা দেবে। আশ্রয় সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে এবছরের সংহতি মেলাটি মহারাজ ধিরাজ কিরিট বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর দেববর্মনের স্মরণে অনুষ্ঠিত হবে। দশদিন ব্যাপী এই সংহতি মেলায় প্রায় আড়াইশোটি স্টল থাকবে। সেইসব স্টলে স্থানীয় স্ব-সহায়ক দলের মহিলারা তাদের উৎপন্ন সামগ্রী নিয়ে এবং রাজ্য ও বহিঃরাজ্যের ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা নিয়ে বসবেন।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের স্টল এবং বি.এস.এফ ও আসাম রাইফেলসেরও স্টল থাকবে। তাছাড়া দশদিন ব্যাপী এই সংহতি মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যার প্রথম দিকে থাকবে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রতিদিন সন্ধ্যার দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে রাজ্য ও বহিঃরাজ্যের বিভিন্ন খ্যাতনামা শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাছাড়া শিশু দিবস, মহিলা দিবস, যুব দিবস,ক্রিয়া দিবস, সাংস্কৃতিক দিবস সহ এভাবে দশদিন ব্যাপী সংহতি মেলার দশটি দিনকে পালন করা হবে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে মেলা চলাকালীন কৈলাশহর কলেজ স্টেডিয়ামে একদিন রাতিবেলা এক প্রীতি মহিলা ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেই প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হবে ত্রিপুরা মহিলা একাদশ বনাম মিজোরাম মহিলা একাদশ।
এই দশ দিন ব্যাপী সংহতি মেলায় শিশুদের আকর্ষণ করতে থাকছে আনন্দ মেলা। আশ্রয় সামাজিক সংস্থার সভাপতি বিধায়ক বিরজিত সিনহা এও জানিয়েছেন যে, এবছরের মেলা উদ্ধোধন করতে আমন্ত্রণ জানানো হবে প্রাক্তন সাংসদ রাজমাতা বিভু কুমারী দেবীকে। এছাড়াও উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হবে মহারাজ প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনকেও। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও দশদিন ব্যাপী সংহতি মেলাকে আকর্ষনীয় করতে তোলতে গোটা কৈলাশহর শহরকে বিভিন্ন ফ্ল্যাগ ফেস্টুন সহ বড় বড় লাইটের গেইট দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে বলেও জানান বিরজিত সিনহা