খোয়াইয়ের সাংবাদিক নিগৃহত হওয়ার অভিযোগে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার সহ দুই পুলিশ অফিসারের বরখাস্ত এর দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ত্রিপুরার জার্নালিস্ট ইউনিয়ন রাজ্য কমিটির নেতৃত্বের উপস্থিতিতে খোয়াই জেলার সমস্ত সাংবাদিকগন জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রতি রঞ্জন দেবনাথ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে এক সুজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন । জার্নালিস্ট ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির নেতৃত্বেগণ দুই পুলিশ আধিকারিক কে বলেন রাজ্যে আইনের সুশাসন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে একের পর এক সাংবাদিক আক্রান্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা খুব একটা সন্তোষজনক নয়।
দুই অধিকারীক ইউনিয়নের নেতৃত্বদের এই বলে আশ্বস্ত করেন অবিলম্বে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করা হবে। এবং আইনানুগ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে পুলিশ আধিকারিকদের সাথে সাক্ষাতের পর জার্নালিস্ট ইউনিয়নের রাজ্য নেতৃত্ব প্রণব সরকার জানান গত ১১ই নভেম্বর রাত সাড়ে দশটায় খোয়াই অফিস টিলা এলাকার মাফিয়া তথা নেশা কার বারি জয়ন্ত গোপ খোয়াই এর সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তীর উপর হামলা সংগঠিত করে।সেই দিন রাতে আশিস চক্রবর্তী পাড়ার একটি কালী পূজার অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল জয়ন্ত গোপ। হঠাৎই জয়ন্ত আশিষ এর সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এবং তার গলা চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয় পাশাপাশি একটি ইট নিয়ে তাকে আঘাত করতে উদ্যত হয়। তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যরা জয়ন্ত গোপকে নিরস্র করে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর জয়ন্ত পুনরায় আশীষের উপর হামলে পড়ে এবং ঘুষি মেরে তার নাক,মুখ ফাটিয়ে দেয়। আশীষ এর নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পুরো ঘটনাটি ঘটেছে দুই পুলিশ অফিসারের সামনে। শেষে আসিস কে নিয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালে ছুটে যায় উপস্থিত লোকজন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।প্রণব সরকার জানান এই ঘটনার সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিকে 24 ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার সহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে । অন্যথায় আগামী দিনে ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়ন খোয়াই এর সাংবাদিকদের নিয়ে, খোয়াইয়ের মাটিতে বিক্ষোভ, ধরণা এবং অবরোধ সংগঠিত করা হবে। এদিন রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জানালিস্ট ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক প্রণব সরকার, রাজ্য নেতৃত্ব সুরজিৎ পাল এবং দিপন্ত মজুমদার সহ অন্যান্যরা।