জন্মদায়িনি মাকে হত্যার অভিযোগ বড়ো ভাই রঞ্জিত ও রঞ্জিতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরিকল্পিত ভাবে হত্যার অভিযোগ তুলে বিলোনিয়া আদালতের দ্ধারস্থ রঞ্জিতের ছোট ভাই ও ছোট বোন। শুক্রবার দুপুরে বিলোনিয়া আদালতে দ্বারস্থ হয় রঞ্জিতের ছোট ভাই বোন । আমার মা মারা যায়নি, মাকে এসিড খাইয়ে দিয়ে হত্যা করেছে ।আমরা এর বিচার চাই , শাস্তি চাই। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ক্যামেরার সামনে মাকে এসিড খাইয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে বড়ো ভাই রঞ্জিতের বিচার চাইলেন ভাই বোন মিঠন ত্রিপুরা ও লক্ষী ত্রিপুরা। ভাই বোন কি বিচার পাবে? নাকি নিভৃতে কাঁদবে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
গত চারই অক্টোবর মৃত্যু হয় মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে । মৃত্যু হয় হেমলতা ত্রিপুরার নামে পঞ্চান্ন উর্ধ্ব এক মহিলার । এই হেমলতা ত্রিপুরার দুই ছেলে রঞ্জিত ও মিঠন ত্রিপুরা, মেয়ে লক্ষী ত্রিপুরা। বাড়ী রাজনগর পিআর থানাধীন বড়পাথরী সবর পাড়াতে। হেমলতা ত্রিপুরার বড়ো ছেলে রঞ্জিত নাকি সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য মা হেমলতা ত্রিপুরার উপর অকথ্য নির্যাতন চালাতো এমনই অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু মৃত হেমলতা রাজি না হওয়ায় তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় বড়ো ছেলে রঞ্জিত ও রঞ্জিতের স্ত্রী । অভিযোগ মৃত্যুর আগের দিন অর্থাৎ গত তেসরা অক্টোবর হেমলতাকে মারধর করে বড়ো ছেলে রঞ্জিত ।
এরপর পরিকল্পনা মাফিক রঞ্জিত ও রঞ্জিতের স্ত্রী মিলে ওনাকে আহত করে, মুখে এসিড ঢেলে দেয়। এই ঘটনা টের পেয়ে ছোট ছেলে ও স্ত্রী এলাকাবাসীর সহায়তায় বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন হেমলতা ত্রিপুরাকে। শান্তির বাজার চিকিৎসাধীনরত অবস্থায় মৃত্যু হয় হেমলতা ত্রিপুরার। এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় যার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা হয়, তাকে পুলিশ আটক না করে উল্টো হেমলতার ছোট ছেলে মিঠন ও মেয়ে লক্ষীকে হয়রানি করছে পুলিশ। জানা যায়, বড়ো ভাই রঞ্জিত নাকি ভাই বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রেখেছে। এই দিকে ছোট ভাই মিঠন সহ বোন লক্ষী বাড়িতে যেতে পারছে না । বাড়িতে গেলেই নাকি মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছে বড়ো ভাই রঞ্জিত। এখন দেখার বিষয় ছোট ভাই মিঠন সহ বোন লক্ষী সুষ্ঠু বিচার পাবে কিনা।