কৈলাসহরের শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সত্তর পরিবারের একশো তিরানব্বই জন ভোটার বিজেপি, কংগ্রেস এবং ত্রিপ্রা মোথা দল ত্যাগ করে সি.পি.আই.এম দলে যোগদান করেন। শাসক বিজেপি দল সহ কংগ্রেস এবং ত্রিপ্রা মোথা দলের বড়সড় ভাংগন দেখা গেলো কৈলাসহরে। আট নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তীর হাত ধরে কৈলাসহরের শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সত্তর পরিবারের একশো তিরানব্বই জন ভোটার বিজেপি, কংগ্রেস এবং ত্রিপ্রা মোথা দল ত্যাগ করে সি.পি.আই.এম দলে যোগদান করেন।
এই যোগদানকে কেন্দ্র করে শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুটানি বাজার এলাকায় এক প্রকাশ্য দলীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, সি.পি.আই.এম ঊনকোটি জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, কৈলাসহর মহকুমা কমিটির সম্পাদক বিশ্বরূপ গোস্বামী, সি.পি.আই.এম নেতা সুরমান আলী, ইনুছ মিঞা খাদিম, কয়েস মিঞা, নারী নেত্রী মুক্তা দাস সহ আরও অনেকে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী শাসক বিজেপি দলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে, শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যেসব উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে তা কেবলমাত্র বাম সরকারের সময়েই হয়েছে। বিগত ছয় বছরে বিজেপি দলের সরকারের সময়কালে শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনো ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ হয়নি।
পঞ্চায়েতের সরকারি টাকা গ্রামের উন্নয়ন মূলক কাজ না করে বিজেপি দলের স্থানীয় নেতারা লুটপাট করে খেয়ে নিচ্ছে। তাই, শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষেরা সি.পি.আই.এম দলে সামিল হয়েছেন। শুক্রবারের সভায় রেকর্ড সংখ্যক সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী সাম্প্রতিক কালে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বিশেষকরে উত্তরজেলার কদমতলা, জিরানীয়া, গন্ডাছড়া প্রভৃতি এলাকার ঘটনা নিয়ে বিজেপি দলের তীব্র আক্রমণ করেন।
উনি আরও বলেন যে, ২০১৪সালে কেন্দ্রে বিজেপি দলের সরকার এবং ২০১৮সালে ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠার পর বিজেপি দলের প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে পাহাড়ি বাংগালীদের মধ্যে এবং হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে এবং বাংগালী অবাংগালীদের মধ্যে দাংগা লাগিয়ে দিয়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা। জিতেন্দ্র চৌধুরী শাসক বিজেপি দলের পাশাপাশি ত্রিপ্রা মোথা দল এবং মহারাজ প্রদ্যোতকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। উনি বলেন যে, রাজ্যে এতসব ঘটনা ঘটে গেলেও সংখ্যালঘুদের কাছে এসে ওদের খোঁজ খবর নেওয়ার সময়টুকু নেই। ভোটের সময় হলে সংখ্যালঘুদের জন্য মায়াকান্না করেন প্রদ্যোত