এক রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ওষুধের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ীর নাম তাপস ভৌমিক। ঘটনা শনিবার বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের সংলগ্ন এলাকায়। চিকিৎসক সেই রোগীকে একটি ইনজেকশন আনার জন্য প্রেসক্রাইব করে। যথারীতি সেই যুবকটি হাসপাতালের সামনে একটি মেডিসিনের দোকান থেকে সেই ইনজেকশনটি নিয়ে আসে।
কিন্তু ইনজেকশনটি এক বছর আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ।এখানেই শেষ নয় আরো একজন যুবককে তার রোগীর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ট্যাবলেট আনার জন্য লিখে দেন। সেই যুবক ও একই দোকান থেকে ট্যাবলেট আনতে গেলে তাকে ট্যাবলেটের পরিবর্তে দিয়ে দেওয়া হয় ইনজেকশন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগী এবং তার পরিজনদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সেই ওষুধের দোকানে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
দোকানের মালিকের নাম তাপস ভৌমিক। তার নেই কোনরকম ওসুধ বিক্রি করার মতো অভিজ্ঞতা। নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স ও।দোকানে তখন ছিল না কোনো ফার্মাসিস্ট। সিসিটিভি ক্যামেরা ও নাকি বন্ধ করে রেখেছেন। শুধুমাত্র রাজধানী আগরতলা কিংবা বিশালগড় মহকুমায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের বহু ভুয়ো মেডিসিন সেন্টার শাখা প্রশাখা বিস্তার করে রেখেছে।
সেই সমস্ত মেডিসিন সেন্টার গুলোর মালিকদের নেই কোনরকম অভিজ্ঞতা। এমনকি ড্রাগ লাইসেন্স নেই তাদের। কিন্তু কিভাবে তারা ওষুধ বিক্রি করে চলেছেন বেআইনিভাবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।