বুধবার বিকেলে কৈলাসহর জেলা কংগ্রেস ভবনে জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুস্টিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য মো: বদরুজ্জামান ও প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বলেন, কৈলাসহরের বিমানবন্দর চালুর করার জন্য ভারত সরকার দশ বছর পূর্বে মঞ্জুরী দিয়েছিলো। বামফ্রন্ট আমলে জায়গা জরিপ না করার ফলে তা চালু হয়নি। বীরজিৎ সিনহা বলেন, তখন তিনি এয়ারপোর্ট চালু করার জন্য সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। জায়গায় জরিপ করার জন্য জায়গার মালিকদের বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে জমি জরিপ করা হয়নি। নতুন সরকার আসার পর সরকারের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সঙ্গে এয়ারপোর্ট চালুর জন্য আলোচনা হয়। মন্ত্রী বলেন সহসাই চালু হবে বিমানবন্দর। আমাদের দাবি হলো পরিধি বড় করে বড় বিমান নামার ব্যবস্থা করা। তাড়াতাড়ি যাতে জমি অধিগ্রহণ করে এয়ারপোর্ট চালু করার জন্য তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন ত্রিপুরায় দ্বিতীয় রেল লাইন স্থাপন করার জন্য দাবী জানানো হয়েছে। কৈলাসহর, কমলপুর, খোয়াই, মোহনপুর হয়ে সাব্রুম পর্যন্ত দ্বিতীয় রেল লাইন করা হোক। বীরজিৎ সিনহা বলেন এই দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় দুইশ প্রতিনিধি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রেলের মুখ্য কার্যালয় মালিগাঁও গিয়ে জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিলো। তিনি মৌখিকভাবে দাবির যৌক্তিকতাও স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। এখন জানা গেছে ইতিমধ্যে কৈলাসহর পর্যন্ত সার্ভের কাজ শেষ। লোকসভা ভোটের পূর্বে এয়ারপোর্ট ও রেলপথ হওয়ার ঘোষণা দিক রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। কৈলাসহরের অনেক অনেক গুরুত্ব রয়েছে। রাজ আমলে কৈলাসহর প্রথম রাজস্ব মহকুমা ছিল।
তিনি বলেন কংগ্রেস আমলে আর.জি.এম হাসপাতালকে জেলা হাসপাতাল করা হয়। বামফ্রন্ট আমলে আর.জি.এম হাসপাতালকে পঙ্গু করে ভগবান নগরের জেলা হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়। জেলা কারাগার স্থানান্তর হলে এখানে বৃহৎ পরিসরে জেলা হাসপাতাল করা যেত কিন্তু তা না করে শহর থেকে অনেকটাই দূরে ভগবান নগরে তা নিয়ে যাওয়া হয়। যার ফলে শহর পশ্চিমাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও শহর উত্তরাঞ্চলের লোকেরা অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
রাত্রিবেলা অসুস্থ হলে অসুবিধা দ্বিগুণ হয়ে যায়। আর জি এম হাসপাতালকে পঙ্গু করার পর কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে পুনরায় আর জি এম হাসপাতালকে চালু করার জন্য দাবি তোলা হয়। বর্তমান সরকার এই দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে কয়েকটা বিভাগ আর জি এম হাসপাতালে চালু করেছে। সুকুমার সেনগুপ্তের আমলে ডিস্ট্রিক হেডকোয়াটার কুমারঘাট নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কংগ্রেসের আন্দোলনের ফলে তা কৈলাসহরের গৌরনগরে করা হয়। এখন শোনা যাচ্ছে গৌরনগর থেকে জেলাশাসক অফিস স্থানান্তর করা হবে সোনামুখীতে। তার জন্য তিনি তীব্র ক্ষোভ জানান।
তিনি সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন জানান। বীরজিৎ সিনহা বলেন, ভারত সরকারের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রক ও ভারত সরকারের রেল মন্ত্রকে বিমানবন্দর ও রেলপথ স্থাপনের জন্য কৈলাসহরবাসীর স্বাক্ষর সম্বন্ধিত চিঠি কিছুদিনের মধ্যে প্রেরণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে