না ফেরার দেশে চলে গেলেন আরো এক প্রবীণ নাগরিক। একদা এক সময়ের টিইউজেএস -এর লড়াকু নেতার প্রয়ানে শোকস্তব্ধ সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল অংশের মানুষজন। প্রসঙ্গত ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত দুর্গাপুরের বর্তমান বাসিন্দা ভুপতি চাকমা। তিনি গন্ডাছড়া মহকুমার একজন প্রবীণ ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। ভুপতি চাকমা ১৯৮৪সাল থেকে তৎকালীন টিইউজেএস -এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী রবীন্দ্র দেব্বর্মার কাছের লোক ছিলেন ভুপতি চাকমা। ভুপতি চাকমা ছিলেন গন্ডাছড়া মহকুমার তুইচাকমার বাসিন্দা। ওই সময় থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বহু শুভাকাঙ্কি উনার পাশে ছিলেন। গত বেশ কয়েক মাস যাবৎ ভুপতি চাকমা ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। উনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন পরিবার পরিজনরা। সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে সোমবার গভীর রাতে আগরতলার ক্যান্সার হাসপাতালে সকলের মায়া মমতা ত্যাগ করে মৃত্যুকে বরণ করে নেন ভুপতিরঞ্জন চাকমা। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ
প্রয়াত ভুপতিরঞ্জন চাকমার মরদেহ গন্ডাছড়া মহকুমার দুর্গাপুরের বাসভবনে পৌঁছলে আত্মীয় পরিজনদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। প্রয়াত ভুপতি রঞ্জন চাকমাকে শেষবারের মতো দেখতে বাড়িতে ভীড় জমায় আত্মীয় স্বজন এবং প্রতিবেশীরা। ছুটে গিয়েছেন রাইমাভ্যালি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক ললিতমোহন ত্রিপুরা। নেতৃত্ব সুশান্ত হাজারী, অর্চনা দাস, দশরানী ত্রিপুরা, ধনঞ্জয় ত্রিপুরা সহ অন্যান্যরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে প্রয়াত ভুপতিরঞ্জন চাকমার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে প্রয়াতের আধিবাড়ী তুইচাকমায়। ভুপতিরঞ্জন চাকমার প্রয়াণকালে বয়স হয়েছিল প্রায় আশি বছর। ভুপতিরঞ্জন চাকমার প্রয়ানে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।