ইরানের বন্দর শহর আব্বাসে জোরালো বিস্ফোরণে অন্তত ৫০০ জন জখম হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ‘তেহরান টাইম্স’ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জনের। শনিবার ইরানের দক্ষিণ প্রান্তে ওই শহরের শাহিদ রাজাই বন্দরে বিস্ফোরণটি হয়েছে। কী কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, কমপক্ষে ৫১৬ জন জখম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে আহতের সংখ্যা।
বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত ইরানের প্রশাসন কিছু জানায়নি। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ইরানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বন্দরে রাখা কন্টেনারগুলির মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়েছে ওমানে। ঘটনাচক্রে, ঠিক সেই সময়েই এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। জেরুজ়ালেম পোস্টে দাবি করা হয়েছে, যে জায়গায় বিস্ফোরণটি হয়েছে, তার অদূরেই ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর একটি নৌসেনা ঘাঁটি রয়েছে। যদিও এই বিস্ফোরণের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যোগ অস্বীকার করেছে ইজ়রায়েলি সশস্ত্র বাহিনী।
বিস্ফোরণের সময়ের বেশ কিছু ভিডিয়ো ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। অন্য একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু ভবন এবং গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েক জন সেখানে জখম ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেও তীব্রতা টের পাওয়া গিয়েছে। দূরবর্তী ওই অঞ্চলগুলিতেও বেশ কিছু ভবনের কাচ উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গিয়েছে।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় অনুমান করা হচ্ছে, বন্দরে দাহ্য কিছু বস্তু রাখা ছিল।ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১,০৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বন্দর আব্বাস সে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর। এখানে রাজাই বন্দরে প্রতি বছর প্রায় ৮ কোটি টন পণ্য বোঝাই এবং খালাস করা হয়। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, এই বন্দর হয়ে ইরানে প্রায় ২০ শতাংশ তেলের ব্যবসা হয়। তবে সে দেশের জাতীয় পেট্রোলিয়াম শোধন এবং বণ্টন সংস্থা জানিয়েছে, রাজাই বন্দরে বিস্ফোরণের সঙ্গে তৈল শোধনাগার, জ্বালানির ট্যাঙ্ক বা বণ্টন ব্যবস্থার কোনও যোগসূত্র নেই।