শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন রাহুল। বৈঠক করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে। বৈঠক শেষে রাহুল বলেন, ‘‘সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই পহেলগাঁওয়ের কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’’পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনায় গোটা দেশকে একজোট হওয়ার বার্তা দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে পরাজিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথাও বললেন তিনি।শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন রাহুল। বৈঠক করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে। বৈঠক শেষে রাহুল বলেন, ‘‘সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই পহেলগাঁওয়ের কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
জঙ্গিরা যা করার চেষ্টা করছে, তা রুখতে প্রত্যেক ভারতীয়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একজোট হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’গত মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর কাশ্মীরিদের নিশানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু লোক কাশ্মীর এবং দেশের বাকি অংশ থেকে আমার ভাইবোনদের (কাশ্মীরি) আক্রমণ করছেন। এটা দুঃখজনক।
সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে হারাতে হবে আমাদের। সেই জন্য আমাদের এক হতে হবে।’’শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছে সেখানকার লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) মনোজ সিংহের সঙ্গেও দেখা করেন রাহুল। তাঁর কথায়, তিনি উপরাজ্যপাল এবং জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, কংগ্রেস তাঁদের পূর্ণ সমর্থন করবে। পহেলগাঁও কাণ্ডে আহতদের এক জনের সঙ্গে দেখাও করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে এসেছি কী ঘটেছে, তা বুঝতে এবং সাহায্য করতে।
জম্মু ও কাশ্মীরের সব মানুষ এই ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা করছেন। আমি চাই সকলে জানুক, আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছি।’’কংগ্রেস প্রথম থেকেই জানিয়েছে, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে তারা সমর্থন জানাবে। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল সরকার। সেই বৈঠক শেষেও রাহুল জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যা-ই পদক্ষেপ করুক, তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বিরোধীদের। শুক্রবার কাশ্মীরে গিয়ে সেই বার্তাই আরও এক বার দিলেন বিরোধী দলনেতা।