ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স এবং তাঁর স্ত্রী উষা ভান্স। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই ভারতে আসতে পারেন তাঁরা। এই সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ভান্স কবে ভারতে আসছেন, সেই দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি। তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১৮-২৪ এপ্রিল ইটালি এবং ভারত সফরে যাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ইটালি সফর শেষে আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁর ভারতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।ভারত সফরের সময়ে তিন সন্তান ইউয়ান, বিবেক এবং মিরাবেলকেও নিজের সঙ্গে আনতে পারেন ভান্স।
ভারত সফরে এসে নয়া দিল্লির পাশাপাশি জয়পুর এবং আগরাতেও যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের। মোদী-ভান্স বৈঠকের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে দিন ক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, আগামী ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি দু’দেশের বাণিজ্য এবং পারস্পরিক শুল্কের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওই সময়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল।
অনুমান করা হচ্ছে, ভান্সের ভারত সফরে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সেগুলি আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। ঘটনাচক্রে ভান্স এমন সময়ে নয়া দিল্লিতে আসছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে গোটা বিশ্বে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ট্রাম্প যে সব দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। যদিও চিন ছাড়া বাকি দেশগুলির উপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রেখেছেন ট্রাম্প।আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফায় আলোচনা হয়ে গিয়েছে ভারতের। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যে ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ঘুরে এসেছেন আমেরিকা থেকে। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর। দু’দেশই চাইছে বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। তবে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে নতুন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর নীতি নিয়ে এগোবে নয়াদিল্লি।