রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহার হাত ধরে নতুন অধ্যায় রচিত হলো কল্যাণপুরে। এক অনারম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে কল্যাণপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি নতুন কলেবরে স্থাপন হওয়া বিডিও কোয়ার্টারের পথ চলা শুরু হল, এর সাথে সাথে রক্ত বাহক দু দুটি ভ্যাণের উদ্বোধন করার পাশাপাশি খোয়াই জেলারই বীরচন্দ্রপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন কল্যাণপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এই নির্মাণ কাজ করতে সরকারের খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা, আধুনিক মানের ভিডিও কোয়াটার স্থাপন করা হয়েছে ৫৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে, অন্যদিকে বীর চন্দ্রপুর এইচএস স্কুলের জন্য খরচ হয়েছে ২ কোটি ১৮ লক্ষ এক হাজার টাকা।
বৃষ্টি বিঘ্নিত উদ্বোধনী মঞ্চে আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা আশা প্রকাশ করেন এই উদ্যোগগুলো আগামী দিনে কল্যাণপুর সহ গোটা খোয়াই জেলার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন এক সময় ত্রিপুরা রাজ্যে পূর্ববর্তী শাসকরা রাজনীতির নামে ভিন্ন ভিন্ন স্লোগানের মধ্য দিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ক্রমাগতভাবে বিভ্রান্ত করে গেছেন, তবে এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের সরকার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিভাবকত্বে গোটা রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বদ্ধপরিকর বলে মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণপুরে বলিষ্ঠভাবে দাবি করেন। পাশাপাশি এবারকার বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহ প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রেই রাজ্যের সার্বিক বিষয়কে মাথায় রেখে কাজ করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন।
চাকুরী সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট দাবি হচ্ছে বিগত সাত বছরে ১৭ হাজারের উপরে সরকারি চাকরি হয়েছে এবং আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও ৮ থেকে ১০ হাজার সরকারি চাকরি হওয়ার পথে বলে মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণপুরে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন। এর পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন সরকারি চাকরির সুযোগ যেহেতু কম এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এম এস এম ই এর মধ্য দিয়ে স্বনির্ভরতার পথ তৈরি করার প্রয়াস নিরন্তর ভাবে অব্যাহত।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন এখানেই সরকার থেমে থাকবেন আগামী দিনে কল্যাণপুর খোয়াইসহ গোটা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আর্থসামাজিক ব্যবস্থার বিকাশের জন্য সরকার নিরন্তর ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করবে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী ওনার আলোচনায় ইতি টানেন। এর পাশাপাশি রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা কল্যাণপুর প্রমোদনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী নিজ নিজ আলোচনার মধ্য দিয়ে যেভাবে রাজ্যের সরকার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রামচন্দ্র ঘাট কল্যাণপুর সহ খোয়াই জেলার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে চলেছে তার জন্য আজ আরো একবার অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন