মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে এ বার মেইতেই এবং কুকি জনজাতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসল কেন্দ্রীয় সরকার। দুই জনজাতির মধ্যে সংঘাতকে ঘিরে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে তপ্ত রয়েছে মণিপুর। উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে বর্তমানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি রয়েছে। মণিপুরের প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের এক প্রতিনিধিদল মণিপুরে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি জরিপ করেছে। এরই মধ্যে শনিবার দুই জনজাতির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসল কেন্দ্র।
পিটিআই সূত্রে খবর, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের’ পথ খুঁজতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২৩ মাসের এই সংঘর্ষে প্রথম বারের জন্য মুখোমুখি বসল মেইতেই ও কুকিরা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, অশান্তি কবলিত রাজ্যে কী ভাবে শান্তি ফেরানো যায়, তার একটি দিকনির্দেশ পাওয়ার চেষ্টা হয়েছে ওই বৈঠকে। কুকি এবং মেইতেই জনজাতির মধ্যে কী ভাবে ভরসা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে শনিবারের বৈঠকে।
বৈঠকে মেইতেই জনজাতির ছ’জন এবং কুকি জনজাতির ন’জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)-র অবসরপ্রাপ্ত বিশেষ অধিকর্তা একে মিশ্র। বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পদত্যাগের পর থেকেই সে রাজ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে ২৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই আবহেই অশান্তি-কবলিত এই রাজ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। মণিপুরের দায়িত্ব এখন সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল ভল্লা। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরেও মণিপুরের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’বা আফস্পার (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।