আগামিকাল নারী দিবসে নওসারিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জন্য ঢেলে সাহায্য হচ্ছে গুজরাটের এই জেলাকে। আর এই মেগা ইভেন্টে নমোর নিরাপত্তায় থাকছেন শুধু মহিলা পুলিশ আধিকারিকরা। নারী দিবসের কথা মাথাই রেখেই এহেন আয়োজন করেছে রাজ্য প্রশাসন। ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার এমনটা ঘটতে চলেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা জেলা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সমস্ত আয়োজন খুঁটিয়ে দেখছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মহিলা আধিকারিকরা। তালিকায় রয়েছেন আইপিএস, কনস্টেবল ও এসআই। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি জানিয়েছেন, “নারী দিবসে উপলক্ষে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে গুজরাট পুলিশ। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র মহিলা আধিকারিকরা।
এই বড় অনুষ্ঠানের গোটাটাই তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ভানসি বোরসি গ্রামের হেলিপ্যাডে নামবেন। তারপর নওসারিতে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এই পুরো সময়টায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকবেন শুধু মহিলারাই।”হর্ষ সাঙ্ঘভি আরও জানান, “২ হাজার ১০০ জনেরও বেশি কনস্টেবল, ১৮৭ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৬১ জন পুলিশ, ১৬ জন ডেপুটি এসপি, পাঁচজন এসপি, একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং একজন অতিরিক্ত ডিজিপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা-সহ সকল মহিলা পুলিশ আধিকারিক সেদিন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসার ও স্বরাষ্ট্র সচিব নিপুনা তোরাওয়ানে সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করছেন।” তাঁর কথায়, এই উদ্যোগ নারী দিবসে বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে। সকলে জানতে পারবেন গুজরাটকে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নারীরা কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নিজের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দেশের অনুপ্রেরণাদায়ক নারীদের হাতে সঁপে দেবেন।
মোদি ভারতীয় সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত নারীর প্রতি সম্মান। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম কিংবা সংবিধান রচনার ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাই জাতীয় মহিলা দিবসে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেবেন তিনি। আগামী ৮ মার্চ নিজের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ এক্স হ্যান্ডল ও ইনস্টাগ্রাম দেশের নারীদের দেবেন তিনি। তাঁরা তাঁদের কাজ ও অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করবেন। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দেশের অনুপ্রেরণাদায়ক নারীদের জন্য এক মঞ্চ হয়ে উঠবে ওই দিন।