কৈলাসহর মহকুমার চন্ডীপুর ব্লক অফিস প্রাংগনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সতেরোটি প্রকল্পের উদ্ধোধন এবং একুশটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
-কৈলাসহর মহকুমার চন্ডীপুর ব্লক অফিস প্রাংগনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সতেরোটি প্রকল্পের উদ্ধোধন এবং একুশটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। অনুস্টানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুরের বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায়, টি.আই.ডি.সি-এর চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী।
মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ভারচুয়ালী সবগুলো প্রকল্পের উদ্ধোধন ও শিলান্যাস করেন। অনুস্টানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার হাত ধরে ১৬২ কোটি টাকায় যেসব প্রকল্পের উদ্ধোধন কিংবা ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছে সেগুলি হচ্ছে, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসকের অফিস, মহকুমা শাসক অফিস, জেলা পরিবহন অফিস, রামকমল উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের বিল্ডিং, তিনটি তহশিল, রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতল ভবন, চন্ডিপুর ব্লকের দ্বিতল বিল্ডিং, পঞ্চম নগর এলাকায় মার্কেট স্টল, পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং সেন্টার, ভগিনী নিবেদিতা এইচ.এস স্কুলের বিল্ডিং, হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের কালাইগিরিতে পানীয় জলের উৎস সহ আরও অনেকটি।
অনুস্টানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, কৈলাসহরের সবার জন্য আজ আনন্দের মুহূর্ত। ১৬২ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী চাইছেন উত্তর পূর্বাঞ্চলকে উন্নত করা। বিরোধীরা অনেক সময় বলেন উন্নয়ন দেখা যায় না। যখন প্রধানমন্ত্রী এয়ার স্ট্রাইক বা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিলেন তখন বিরোধীরা তার প্রমাণ চাইছিলেন। তার জন্য আমরা বলে থাকি প্রত্যেকটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের আসার জন্য।
উত্তর পূর্বাঞ্চলকে উন্নত করা হলে উন্নত ভারত হবে তা এখন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন হীরা মডেল দেবার কথা তা তিনি দিয়েছেন। মুম্বাই চেন্নাইয়ের পর ত্রিপুরার উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা। আগরতলা এয়ারপোর্ট উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সবথেকে সুন্দর এয়ারপোর্ট। বর্তমান সরকার আসার পর এয়ারপোর্টকে মহারাজের নামে করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও গৃহ মন্ত্রীর কাছে কোন বিষয়ে কথা বললেই তা হয়ে যায়। নতুন আরেকটি রাস্তা হচ্ছে কমলপুর, আমবাসা, গন্ডাছড়া হয়ে শান্তিরবাজার। সব কিছুর ক্ষেত্রে শান্তি ও সম্প্রীতি সবথেকে বেশি জরুরি। আগে এসকর্টে আগরতলা থেকে এখানে আসতে হতো। তাতে দশ থেকে বার ঘন্টা সময় লেগে যেত। এখন উত্তর পূর্বাঞ্চলে শান্তি এসেছে। বাইরে থেকে অনেক ইনভেস্টার এখন রাজ্যে আসতে চাইছে।ত্রিপুরার সমস্ত জেলাকে উন্নত করা হচ্ছে। আগামী দিনে ঊনকোটিকে আরো উন্নত করা হবে। অনেকগুলি জাতীয় সড়ক হয়েছে।
রাস্তা হলে যেতে সুবিধা হয়, ব্যবসা ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা আছে। রাস্তাই আগামী দিনের রাস্তা দেখায়। এবারও আমি মাননীয় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি আমাদের কৈলাসহর হয়ে বিকল্প রেল লাইনের জন্য। রেলমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত বলেন যে, আমি আস্তে আস্তে করবো কিন্তু প্রথমে আমরা ধর্মনগর থেকে কৈলাসহর রেল লাইন করে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে কৈলাসহর বাসী আনন্দিত ও উৎফুল্লিত