CBSE পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় একটি বছর পিছিয়ে গেল দারিদ্র পরিবারের একমাত্র সন্তানের। শুক্রবার ছিল CBSE পরিচালিত মাধ্যমিকের হিন্দি পরীক্ষা। খোয়াই মহকুমার রামচন্দ্রঘাট বিধানসভার অন্তর্গত লালটিলা এলাকার ডিরোজিও মিশন স্কুলের ছাত্র বাপন দেব জহর নবোদয় বিদ্যালয়ে যান পরীক্ষা দিতে অন্যান্য ছাত্রদের মত। যদিও বা সে বাংলা বিভাগের ছাত্র।
কিন্তু পরীক্ষা হলে গিয়ে জানতে পায় আজ ছিল হিন্দি বিষয়ক পরীক্ষা। সঙ্গে সঙ্গে সেই ছাত্রটির মাথা ঘুরে যায়। এবং স্কুল থেকে লালটিলার বাড়িতে চলে এসে পরিবারকে ঘটনাটি জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সে। ঘটনাটি জেনে হতদরিদ্র মা-বাবা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। মা-বাবার অভিযোগ, ৫ মাস আগে খুব কষ্টে সুধে টাকা এনে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে খোয়াই জাম্বুরার বনেদি বেসরকারি স্কুল ডিরোজিও মিশন স্কুল বাপনকে ভর্তি করায় ।
বাপনের হিন্দি কোন বিষয়ই ছিল না। সে বাংলা নিয়ে স্কুলে পড়াশোনা করে বলে বাপনের মা জানান। কিন্তু শুক্রবার যখন শুনতে পারেন বাপন পরীক্ষা দিতে পারেনি তখন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে দরিদ্র পরিবারের মাথায়। দুপুরে লালটিলা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে খোয়াই শহরের ডিরোজিও মিশন স্কুলে ছুটে যান বাপনের পরিবার বাপনকে সাথে নিয়ে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি দায় অস্বীকার করে বলে বাপনের রেজিস্ট্রেশনে হিন্দি সাবজেক্ট নাকি তোলা ছিল।
তাদের সামনেই ভেরিফিকেশন হয়েছে আগে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে যায়। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারের আর্তনাদ পাঁচ মাস আগে মাঝ পথে মোটা টাকার বিনিময়ে কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ তার ছেলেকে ভর্তি করালো এর কোন সদুত্তর স্কুল কর্তৃপক্ষ দিতে পারিনি। এর আগেও বহুবার মোটা টাকার লালসায় কোমলমতি ছাত্রদের জীবন নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় স্তম্বিত শিক্ষানুরাগী মহল।