আটাশ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোরবেলা তেরো জন বাংলাদেশের নাগরিক সহ তিন জন ভারতীয় দালাল নাগরিককে আটক করেছে বি.এস.এফ জওয়ানরা। পরবর্তী সময়ে শুক্রবার বিকেলে বি.এস.এফ জওয়ানরা আটক ১৬জনকে পুলিশের হাতে তোলে দেওয়ার পর সাথে সাথেই পুলিশ ১৬জনকে আদালতে প্রেরণ করে। ঘটনা কৈলাসহরে। একসাথে ১৩জন বাংলাদেশের নাগরিক আটক হওয়ায় গোটা ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহরে তীব্র আতংক বিরাজ করছে।
এব্যাপারে কৈলাসহর থানার ওসি আই.পি.এস রাগুল এ ( Raghul A) সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, কৈলাসহর থানার অন্তর্ভুক্ত সমরুরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের সমরুরমুখ বি.ও.পি-এর ১৯৯নম্বর ব্যাটেলিয়ন বি.এস.এফ জওয়ানরা শ্রীরামপুর এলাকায় মনু নদীর উপর পাকা ব্রীজের কাছ থেকে একসাথে ১৬জনকে আটক করে সমরুরমুখ বি.ও.পি-তে নিয়ে গিয়ে জোর জিজ্ঞাসাবাদ করে বিকেলে কৈলাসহর থানায় এনে পুলিশের হাতে তোলে দেয়।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, ধৃত ১৬জন নাগরিকদের মধ্যে ১৩জন বাংলাদেশের নাগরিক। ১৩জন বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে এক বছরের এক শিশু এবং পাঁচ বছরের তিন কন্যা ও নয় বছরের এক মেয়ে সহ প্রাপ্ত বয়স্ক চারজন মহিলা এবং চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ রয়েছে। তাছাড়া ধৃত ১৬জনের মধ্যে তিনজন ভারতীয় পুরুষ নাগরিক ছিলেন। তিন ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে দুইজন ধলাই জেলার মনু ও আমবাসার বাসিন্দা এবং একজন আসাম রাজ্যের শিলচরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ধৃত তিন ভারতীয় নাগরিক দালাল বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। তিন ভারতীয় নাগরিকদের মাধ্যমেই ১৩জন বাংলাদেশের নাগরিক অবৈধভাবে কৈলাসহরের সমরুরমুখ এলাকার ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত তেরো জন বাংলাদেশের নাগরিক এবং তিনজন ভারতীয় নাগরিক সহ সবাই সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমনের জেরে উনারা নিজেদের প্রান বাঁচাতে ভারতে এসেছে বলে ধৃতরা জানায়।