মহাকরণে বসে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে হাজার হাজার শূন্যপদ তৈরি করা এবং পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে চলেছে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা। কিন্তু শূন্যপদ পূরণ করতে সরকারকে রাস্তায় নেমে বাধ্য করতে হয় বেকার মহলের। শনিবার রাজধানীর উমাকান্ত স্কুল প্রাঙ্গনে বেকার যুবকরা জমায়েত হয়ে ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আঙ্গুল তুলে। তাদের অভিযোগ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ম্যান এবং ডাইভারের জন্য ২০২১ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
২০২২ সালে ৮ জানুয়ারি তাদের লিখিত পরীক্ষা হয়। এখন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে পারেনি দপ্তর। শারীরিক পরীক্ষা পর লিখিত পরীক্ষা হয়েছে।কিন্তু তাদের মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। বিভিন্নভাবে তালবাহানা করে চলেছে। একাধিকবার দপ্তরের সচিবের দারস্ত হলে তিনি জানিয়েছেন দ্রুত মেরিট লিস্ট প্রকাশ হবে।
এখন মেরিট লিস্ট প্রকাশ না হওয়ায় তারা যখন আবার সচিবের সাথে দেখা করেন তখন তাদের বলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি মিললেই তারা মেরিট লিস্ট প্রকাশ করবে এবং দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোন রকম সবুজ সংকেত না দিলে তারা কিছুই করতে পারছে না। তারপর মুখ্যমন্ত্রী কাছ থেকে কোনরকম অনুমতি পায় নি তারা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠিও লিখেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কোন সাড়া পায়নি।
চাকুরীর আশায় তাদের এভাবে বয়স বাড়ছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে তারা। অন্য কোন কাজের সন্ধানেও করতে পারছে না। তাই তাদের দাবি সমস্যার সমাধান করতে মুখ্যমন্ত্রী যাতে অনুমতি দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবকে। তাহলেই ৩০৪ জন ফায়ারম্যান এবং ২৫ জন ড্রাইভার ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ করতে পারবে। দপ্তরের কর্মী সংকট নিরসন হবে।