খাদ্য, জনসংগঠন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর এবং কৃষি ও কৃষক কল্যান দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২৩ হাজার টাকা করে ধান ক্রয় করার কর্মসূচির সূচনা হয় বৃহস্পতিবার। জিরানিয়া মাধব বাড়িতে আন্তঃ রাজ্য ট্রাক টার্মিনাস পরিসরে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই ধান ক্রয় করার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ সহ দপ্তরের আধিকারিকরা। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বক্তব্য রেখে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের।
বিগত দিন রাজ্যবাসী দেখেছে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হতো। বর্তমানে কোন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা আসে না।কারণ ডাবল ইঞ্জিন সরকার কোন কিছু চাওয়ার আগেই প্রদান করে দিচ্ছে। সেটা পরিকাঠামো, কৃষি, পর্যটন সহ যেকোন ক্ষেত্রে। কারণ সরকারের একটাই উদ্দেশ্য যাতে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাথে ত্রিপুরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে কৃষকদের অর্থনীতি বুনিয়াদি আরো বেশি শক্তিশালী হয়। এখন পর্যন্ত ৩৯৭ কোটি টাকার অধিক ধান ক্রয় করা হয়েছে রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে।
উপকৃত হয়েছে এক লক্ষ ৭ হাজারের অধিক কৃষক। কারণ বর্তমান সরকার জানে কৃষকরা হলো অন্নদাতা। তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা কৃষক সম্মান নিধি, ধান ক্রয় করা সহ একের পর এক কৃষক স্বার্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বক্তব্য রেখে বলেন, রাজ্যের দুই লক্ষ ৭৬ হাজার কৃষক ১৮ কিস্তিতে ৭৯০ কোটি টাকা পেয়েছে। ধান ক্রয়ের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, বাজারে এক মন ধানের দাম ৭০০ টাকা, কিন্তু সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৯২০ কোটি টাকা মূল্যে ধান ক্রয় করছে।
শুধু তাই নয়, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৩ লক্ষ ৭২ হাজার কৃষক ২০২৫ কোটি টাকা কৃষি ঋণ পেয়েছে।কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মেশিন বিতরণ করছে সরকার। এবং কৃষকদের কৃষি বাজার তৈরি করে দিচ্ছে এই সরকার। যাতে কৃষকরা ফসল জমি থেকে তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে সঠিক মূল্য পেতে পারে। সুতরাং এ সরকার কৃষক বান্ধব বলে দাবি করলেন মন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং মন্ত্রী রতন লালন নাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, খাদ্য ও জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধ, জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস, জিরানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।