বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও রাজ্যভিত্তিক খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমস অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বিবেকানন্দ ময়দানে রাজ্যভিত্তিক খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমস অনুষ্ঠিত হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তার মানিক সাহার হাত ধরে ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যভিত্তিক খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমসের উদ্বোধন হবে।সোমবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।
মন্ত্রী বলেন এ ধরনের আয়োজন করার পেছনের মূলত উদ্দেশ্য হলো দিব্যাঙ্গন ছেলে মেয়েরা যাতে খেলার প্রতি আরো বেশি উৎসাহিত হয়। পাশাপাশি তারা যাতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সম্পর্কে অবগত হয়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর থেকে সামাজিক ভাতা দেওয়া হবে।এখন পর্যন্ত দিব্যাঙ্গন ভাতার জন্য আবেদন পত্র জমা দিয়েছে ২৭৭৯ জন। তাদের ১৮ ডিসেম্বর বিবেকানন্দ ময়দানে সামাজিক ভাতা দেওয়া হবে। একই সাথে তাদের হুইল চেয়ার সহ বিভিন্ন সামগ্রী তাদের দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যারা আশি শতাংশ দিব্যাঙ্গন তাদের দিব্যাঙ্গন ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার ৬০ শতাংশের অধিক দিব্যাঙ্গনদের সামাজিক ভাতার আওতায় এনেছে। প্রায় ১৫ হাজারের অধিক দিব্যাঙ্গনদের সামাজিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, অনুষ্ঠানে ১০ জন মেধাবী দিব্যাঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীকে আর্থিক পুরুস্কার প্রদান করা হবে। খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমস-এ ১৪ টি ইভেন্টে খেলাধুলা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল, দাবা, শটফুট, দৌড়, লংজ্যাম, মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা এবং হুইল চেয়ার দৌড় প্রতিযোগিতা।
১৯ ডিসেম্বর খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশেষ অলিম্পিক ভারত মল্লিকা নাড্ডা।এছাড়াও চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি থেকে আসবে। দিব্যাঙ্গন শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এ অনুষ্ঠানের সকালে উপস্থিত থেকে দিব্যাঙ্গদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী গর্বের সাথে দাবি করলেন, সারা ভারতবর্ষের মধ্যে একমাত্র ত্রিপুরায় জনসংখ্যার অনুপাতে ত্রিপুরায় চার লক্ষের অধিক মানুষকে সামাজিক ভাতা দেওয়া হয়। তারপর দেখা যায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার সামাজিক ভাতা দিতে সমস্যায় পড়তে হয় সরকারকে। কারণ ১৪ থেকে ১৫ হাজার মানুষ রয়েছে যারা আধার লিঙ্ক এখনো করায়নি। কিন্তু ৪ লক্ষ মানুষের সামাজিক ভাতা প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যায়।