গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে আইজিএম হাসপাতালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় সোমবার। মৃত গৃহবধুর নাম সীমা দাস এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাজু দাস। ঘটনা রবিবার রাতে রাজধানীর যোগেন্দ্র নগর এলাকায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যা সময় গৃহবধূ সীমা দাস তার মাকে ফোন করে জানায় বুকের প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে। তারপর গৃহবধূর মা বলে সোমবার সকালে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আসার জন্য।
রাত দশটার নাগাদ গৃহবধূর স্বামী রাজু তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফোন করে জানায় সীমার প্রচন্ড বুক ব্যথা হচ্ছে। সাথে সাথে গৃহবধুর ভাই জানিয়ে দেয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু গৃহবধূর ভাইকে গালিগালাজ করতে শুরু করে অভিযুক্ত স্বামী। রাত বারোটা নাগাদ ফোন করে পুনরায় গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজনকে জানায় সীমার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারপর রাত তিনটার নাগাদ সীমাকে হাসপাতাল নিয়ে আসে তার স্বামী। এদিকে হাসপাতাল ছুটে আসে গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন।
কিন্তু চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ তাদের মেয়েকে সঠিক সময়ে হাসপাতাল না এনে অভিযুক্ত স্বামী মদ খেতে যায়।তারপর মদমত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে মারধর করে তাদের মেয়েকে। তারপর মৃত্যু হয়েছে সীমার। সীমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ গৃহবধূর সীমার বাপের বাড়ির লোকজনের।
এদিকে স্বামী রাজু দাস জানায়, তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে হাসপাতাল নিয়ে আসার সময় রাস্তায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি সীমার উপর। কিন্তু তার শশুর বাড়ির লোকজনের পক্ষ থেকে যে অভিযোগটি তোলা হচ্ছে সেটা প্রমাণ হবে ময়না তদন্তে রিপোর্ট হাতে আসলে। এমনটাই দাবি করলেন গৃহবধূর স্বামী। এদিকে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন আইজিএম হাসপাতালের মধ্যেই স্বামী রাজু দাসকে উত্তম মাধ্যম দেয়।