মুহুরী আন্তঃশুল্ক বন্দরের ৩০০ গজ দূরে বাংলাদেশী দের বিক্ষোভ, দুই দেশের প্রশাসনের করা নজরদারি, সীমান্তে চাপা উত্তেজনা। হিন্দু ধর্ম প্রচারক চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে মিথ্যা মামলায় গ্ৰেপ্তার সহ বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমন হত্যা বর্বরোচিত আক্রমণের পাশাপাশি মঠ মন্দির ভাঙ্গচুর, সারাদেশে এই ধরনের অরাজকতাও অমানবিকতা চলছে উগ্ৰ মৌলবাদীদের দ্বারা ।
এরই প্রতিবাদে সারা ভারত জুড়ে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। ভারতের অঙ্গ রাজ্য ত্রিপুরার শেষ প্রান্ত বিলোনিয়াতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে গত রবিবার ,বিলোনিয়া মুহুরি ঘাট আন্তঃ শুল্ক বানিজ্য কেন্দ্রের সামনে হিন্দু নাগরিক সমাজ প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন। রবিবারের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে পাল্টা বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ও আজ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন। এর জেরে বুধবার সকালে দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমানার আন্তঃ শুল্ক বানিজ্য কেন্দ্র ছিল থমথমে ভাব। বিলোনিয়া মুহুরি ঘাট আন্তঃ শুল্ক বানিজ্য কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনী সহ আধাসামরিক বাহিনী যেমন ছিল তেমনি বাংলাদেশের অংশে বিপুল পরিমাণে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে ।
কিন্তু বাংলাদেশর আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা ভারতের বিরুদ্ধে বাংলার সীমান্তের কাছাকাছি পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখাতে আসার পর আন্দোলনকারীদের থামিয়ে দে সে দেশের প্রশাসন।বেহেস্তে যায় এদিন ভারতের সীমানার কাছাকাছি এসে বাংলাদেশের বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখানো। শেষমেষ সীমানার তিনশো গজের দূরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে হলো। জানা যায় এই দিকে বিলোনিয়া হিন্দু নাগরিক সমাজও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশী আন্দোলনকারীদের পাল্টা বিক্ষোভের জবাব দিতে। কিন্তু দুই দেশের প্রশাসনিক তৎপরতায় সীমান্তে তেমন কোন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি।