বুধবার সকালে ফেনীর পরশুরাম বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকায় ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পূর্বে কাঁটা তারের সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে তিনি বাংলাদেশী যুবক, দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এক বাংলাদেশী যুবক হাতে নাতে ধরা খেল । প্রথমতঃ চোর সন্দেহে জনরোষের মুখে পড়ে ধোলাই খেল বাংলাদেশি যুবকটি, পরে অকপটে সে স্বীকার করে সে সীমান্তে পাচার বাণিজ্যের সাথে যুক্ত। নাম ইসবুল হোসেন ইলিয়াস ওরফে ইয়াসিম। বাড়ি বাংলাদেশ ফেনি জেলার পরশুরাম এলাকায়।
সে পাচার বাণিজ্যের লেনদেনের বিষয়ে ভারতীয় পাচারকারীদের সাথে কথা বলার জন্য এসেছে। ঘটনা জানাজানি হতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। উপস্থিত জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইসবুল হোসেন ইলিয়াসকে । পুলিশ আহত ইসবুলকে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয় হাসপাতালে। বাংলাদেশী পাচারকারী যুবক ইসবুল হোসেনের কাছ থেকে জানা যায়, ভারতের বিলোনিয়া সীমান্তের তিন পাচারকারীর সাথে কথা বলতে এবং তাদের সাহায্যে বিলোনিয়া সীমান্তলাগোয়া ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশি ইসবুল হোসেন ইলিয়াস ।
বর্তমানে দুই দেশের চরম উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে /এরই মধ্যে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সীমান্তে পাচার বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশিদের আনাগোনা চলছে এই নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে সীমান্তে পাহারাগত বিএসএফ জওয়ানদের দিকে। বুধবার সকালে বিলোনিয়া চেকপোষ্ট সংলগ্ন কাঁটাতার ডিঙ্গিয়ে ইসবুল বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে বিলোনিয়াতে প্রবেশ করে। সে প্রতিনিয়ত চোরাই পথে পেঁয়াজ ও রসুনের ব্যাবসা করে বলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানায়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিলোনিয়া থানার পুলিশ। গুরুতর আহত বাংলাদেশি যুবক বর্তমানে শান্তির বাজার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ।
বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকা যে সীমান্তরক্ষি বাহিনীর নজরদারিতে কতটুকু সুরক্ষিত তা আজ এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেই বুঝা যাবে,পাচার বানিজ্যের সাথে যুক্ত ইসবুল হোসেনের মতো একজন বাংলাদেশি কিভাবে অবৈধভাবে ভাবে কাঁটাতারের করা পাহারায় ভারতে প্রবেশ করে, সীমান্ত সুরক্ষা ও বিলোনিয়া বাসীর সুরক্ষা এই পরিস্থিতি প্রশ্ন চিহ্ন এঁকে দিলো ।