সরকার প্রধানের সঙ্গে জড়তা কাটিয়ে উঠতে না পেরে প্রতিদিন পুরাতন রাজভবন নিয়ে রাস্তায় নামছে সরকার শরিক তিপরা মথা। লাগাতার আন্দোলনের পরেও সরকারের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোন ষ্পষ্টিকরণ পায় নি মথার নেতৃত্ব। তাদের কাছে সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার পুরাতন রাজভবন তথা পুষ্পবন্ত প্রাসাদ তাজ গ্রুপের কাছে তুলে দিয়ে আর্থিক লাভের জন্য রাজন্য আমলে এই প্রাসাদ ধুলিস্যাৎ করে পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।তারপর থেকেই লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়েছে শরিকদল মথার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার তিপরা ওমেন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রাজধানীর ভিআইপি রোড ৪ ঘন্টার জন্য অবরোধ করে ধর্নায় বসে। ধর্নায় বসার আগে রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ মাঠ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে তারা। মিছিলটি সার্কিট হাউস এলাকায় আসতেই আটকে দেয় পুলিশ। তারপর সেখানেই ধর্নায় বসে তারা। দীর্ঘক্ষণ চলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন টি টি এ এ ডি সি -র চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা।তিনি জানান সরকার রাজন্য আমলের স্মৃতি ধূলিস্যাৎ করে দিয়ে পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ করতে চাইছে। এর বিরোধিতা করার পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জানায় তিপরা মথা। সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। কারণ এই প্রাসাদের সাথে রাজ্যের মানুষের আবেগ জড়িত।
তাই কোনভাবে এই প্রাসাদ ব্যবসার জন্য পাঁচতারা করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন সরকার যদি অবিলম্বে প্রস্তাব প্রত্যাহার না করে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে দলের সমস্ত সংগঠন। এই আন্দোলনে গোটা রাজ্যবাসীকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে তিপরা মথার শাখা সংগঠনগুলি এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়ে আছে। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি এ বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার টু শব্দ করছে না। যাইহোক এদিন সকাল দশটা থেকে আগরতলা শহরের ভিআইপি রোডে তাদের কর্মসূচি ঘিরে গোটা আগরতলা শহর নাকা বন্দি হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে অফিস টাইমে রাজনৈতিক দলগুলি এ ধরনের কর্মসূচি ঘিরে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।
কারণ শহরে নিত্যদিনের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ ধরনের কর্মসূচির কারণে ট্রাফিক জ্যাম। সঠিক সময় মত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা অফিসে পৌঁছাতে পারছে না। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢিলেমী মনোভাবের কারণে খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। উদ্বেগ জনক বিষয় হলো শহরের অন্যতম ভিআইপি রাস্তা এভাবে আটকে রাখায় প্রধানের রেফারেল হাসপাতালে পর্যন্ত রোগী নিয়ে পৌঁছাতে বিপাকে পড়তে হয় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের। প্রতিদিন এভাবে নাজেহাল হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনটাই গুঞ্জন শহরবাসীর মধ্যে।