বাংলাদেশে ভারতীয় জাতীয় পতাকা অবমাননার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পাল্টা মারমুখী হলো হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি।সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে পাল্টা জবাব দেয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশে অবমাননা করা হয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা।আবার শনিবার ত্রিপুরা থেকে যাত্রী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের উপর এক প্রকার আক্রমণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বাসের অভ্যন্তরে থাকা যাত্রীদের প্রান নাশের হুমকি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ইউনুস খানের সরকারের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। দিকে দিকে শুধু অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। আর প্রতিবাদে সরব হচ্ছে সীমান্তের এপারের মানুষ। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় চলছে আন্দোলন। সোমবারও বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশন অফিসে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয় সকাল থেকে। বিকালে নাগাদ আক্রান্ত হয় বাংলাদেশ সরকারি হাই কমিশন অফিস। ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাংচুর চালায়। বাংলাদেশের সরকারের ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানান। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দাবি তোলে বিক্ষোভকারীরা।
বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলা হয়। একই সাথে বাংলাদেশের ভিসা অফিসের ফেস্টুন পুড়ে ফেলা হয়। ধিক্কার জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারকে। দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে গণতান্তিকে রাষ্ট্র, এমনটাই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভকারীরা। একটা সময় পর পুলিশ বুঝতে পারে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তারপর বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশন অফিসের ভেতর প্রবেশ করে বিক্ষোভ কারীদের বের করে যাওয়া হয়।