ভোক্তা অধিকার হলো যে কোনও পণ্য বা পরিষেবার গুণমান, পরিমাণ, বিশুদ্ধতা, মূল্য ও মান সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত হওয়ার অধিকার। ভোক্তাদের স্বার্থে সর্বজনীন ভোক্তা সুরক্ষা আইন সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা আমাদের সবার দায়িত্ব। ভোক্তা সচেতনতার উদ্দেশ্য হলো ভোক্তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে এবং কিভাবে অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রতিকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অবহিত করা।
শনিবার মহারাজা বীরবিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে কনজিউমার ক্লাব আয়োজিত ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে খাদ্য, জনসংভরণ ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণ মানুষ নিজের কষ্টের উপার্জিত অর্থে বাজার থেকে জিনিস কিনে যাতে কোনও ক্ষতির সম্মুখীন না হন সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচির পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
গ্রাহক কিভাবে সঠিক জিনিসটি আদায়ে আইনি পরিষেবা পাবে সে বিষয়েও গ্রাহক এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান থেকে জানতে পারবেন। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার বিষয়ক আইনি পরিষেবার বিষয়ে এখনও সাধারণ মানুষ বিশেষভাবে জানে না। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে সরকার ভোক্তা অধিকারের পরিষেবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধ। তিনি ভোক্তা অধিকার বিষয়ক আইনি বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সুমিত লোধ। তিনিও গ্রাহক পরিষেবার জন্য খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন পরিষেবাগুলির তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, কোনও গ্রাহক যদি কোনোভাবে কোনও বিক্রেতা দ্বারা প্রতারিত হন তাহলে গ্রাহক সাদা কাগজে খাদ্য দপ্তরে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহারাজা বীরবিক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলার প্রফেসর সত্যদেও পোদ্দার। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সুমন্ত চক্রবর্তী।