বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রী সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শুক্রবার মহাকরনে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরে ১৯৮ টি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে লোক নিয়োগ করা হবে। যারা ডিগ্রি প্রাপ্ত তারা ১০৫ টি পদে ও যারা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করেছেন তারা ৯৮ টি পদে আবেদন করতে পারবেন। টিপিএসসি-র মাধ্যমে শূন্যপদ গুলি পূরণ করা হবে।শিক্ষা দপ্তরে স্নাতক ও অস্নাতক ১ হাজার ৫৬৬ টি শূন্য পদ সৃষ্টি করে পূরণ করা হবে। রাজ্যে শিক্ষক স্বল্পতা দুরীকরণের জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। টিআরবিটি-র মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। অস্নাতক শিক্ষক পদ রয়েছে ১ হাজারের অধিক। এছাড়াও মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বিদ্যাজ্যোতি স্কুল গুলির জন্য ১১২ টি পদে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ করা হবে। কারা দপ্তরে ১৫১ জন ওয়ার্ডেনের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে প্রদেশ বিজেপি।
শনিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে রাজ্য মন্ত্রিসভার সকল সদস্য সহ মুখ্যমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানান প্রদেশ বিজেপি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ বিজেপির মুখ্য প্রচারক নবেন্দু ভট্টাচার্যী বলেন রাজ্য সরকার বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য আন্তরিক।তবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া ।এইভাবে রাজ্যের যুবকদের প্রতিনিয়তই নিয়োগের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার । তবে শুধু চাকরির মাধ্যমেই বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভর করে তোলা সম্ভব নয়।তাই বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের আত্মনির্ভর করার জন্য প্রয়াস নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে ।
আর এই ইতিবাচক প্রক্রিয়ায় সাড়া দিয়েছে বেকার যুবক-যুবতীরা ।ফলে দিন দিন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে তারা। ইদানিংকালে যুব মোর্চার রেলিতে তা লক্ষ্য করা গেছে।প্রচুর সংখ্যক যুবক-যুবতীরা অংশগ্রহণ করেছে ।শহরেও প্রচুর পরিমাণে যুবক-যুবতীরা সেখানে অংশগ্রহণ করেছেন এতে প্রমাণিত হয় যে রাজ্য সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি রাজ্যবাসী ঐকান্তিক ।পুষ্পবণত প্রাসাদকে নিয়ে বর্তমান আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নবেন্দু ভট্টাচার্য দাবি করেন যে সরকার এখনো এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বা মৌ স্বাক্ষর করেনি শুধুমাত্র আলোচনা চলছে ।তবে এই রাজ্য সরকার রাজন্য বিজড়িত স্মৃতিগুলিকে মুছতে চায় না বরং সেগুলিকে পুনরুদ্ধারের এবং সম্মানের ব্যবস্থা করেছে ।যার ফলে আগরতলা বিমানবন্দরের নাম মহারাজার নামে করা হয়েছে ।মহারাজার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে রা।জন্য বীজড়িত সকল প্রকার স্থাপত্যকে সরকার সংরক্ষণ করতে চায়।তাই এ পুষ্পবণ্ত প্রসাদ কে সরকার কোনভাবে মুছে দিতে চায় না ।বরং সেটাকে সংরক্ষণ করে কিভাবে তার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা যায় তারই চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বর্তমানে রাজন্য বিজড়িত বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তোলা হচ্ছে।কিন্তু সরকার রাজ্যের ইতিহাসকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন নবেন্দু ভট্টাচার্যী।বাংলাদেশ হিন্দু নির্যাতন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের সময়ে যেভাবে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং বুদ্ধদের উপর আক্রমন করা হচ্ছে তা মানবিকতার পরিপন্থী ।এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।এর প্রভাব বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দেশে ও পর্বে বলে তিনি মন্তব্য করেন তিনি বলেন অবিলম্বে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারও যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।