নেশার সাগরে ভাসছে ত্রিপুরা রাজ্য। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেশাকারবারিরা তাদের নেশা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। বিলাস বহুল গাড়িতে করে রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে নেশা সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে অন্যপ্রান্তে। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল মেলাঘর থানার পুলিশ। শুক্রবার ভোরে মেলাঘর থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে একটি বিলাস বহুল গাড়িতে করে নেশা সামগ্রী পাচার হতে পারে।
এই সংবাদের উপর ভিত্তি করে মেলাঘর থানার পুলিশ ইন্দিরানগর এলাকায় ওত পেতে বসে। সেই সময় নেশা সামগ্রী বোঝাই বিলাস বহুল গাড়িটি পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নেশা সামগ্রী বোঝাই গাড়িটি পুলিশের গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে ঢুকে যায়। সাথে সাথে পালিয়ে যায় গাড়ির চালক। পুলিশ গাড়িতে থাকা দিদার হোসেন নামে এক যুবককে আটক করে।
তল্লাসি চালানো হয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ লক্ষ ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। ঘটনার খবর পেয়ে সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর ছুটে যান ঘটনাস্থলে।তিনি জানান উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ট্যাবলেটের কালোবাজারি মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা হবে। ধৃত দিদার হোসেনের বিরুদ্ধে মেলাঘর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের হাতে ধৃত দিদার হোসেনের বাড়ি সোনামুড়া মহকুমার কুলুবাড়ী এলাকায়। পুলিশ এইদিন সফলতা পেলেও, এইভাবে প্রায় প্রতিদিন নেশাকারবারিরা রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে নেশা সামগ্রী পাচার করছে। এখন দেখার মেলাঘর থানার পুলিশ তদন্তক্রমে এই নেশা সামগ্রী পাচারের মূল মাস্টার মাইন্ডকে জালে তুলতে পারে কিনা।