করবুক মহকুমা অন্তর্গত নিজচন্দ্র পাড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ক্ষতিপূরণ না পেয়ে এক প্রকার ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পোয়াংবাড়ির পঞ্চায়েতের মানুষ চেলাগাং থেকে যতনবাড়ি যাওয়ার পথে নিরচন্দ্র পাড়া এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে। দীর্ঘদিন যাবৎ ঘরবাড়ি না থাকার ফলে, অনেক কষ্টের দিনযাপন করছে বলে অভিযোগ। আরো অভিযোগে চেলাগাং তহশীলদার রতন মনি ত্রিপুরা ও বিক্রম সিং চাকমা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের থেকে ১০ হাজার টাকা করে কোন পারিবার থেকে ২৫ হাজার টাকা করে তুল্লা তুলে নিজের পকট গরম করছে, কিন্তু তহশিলদারের পকট গরম না করতে পারলে সেই পরিবার গুলিকে আর কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না বলে সকল পোয়াংবাড়ির পঞ্চায়েত সাধারণ জনগনদের অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা আরো অভিযোগ করেন তহশিলদার সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররের লোকদের ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা না দিলে একলাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা পথ অবরোধ করেন। এই পথ অবরোধের ফলে রাস্তার দুধারে যানবাহন থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্রছাত্রী আটকে পড়েন। পরবর্তী সময়ে করবুক মহকুমার ডিসিএম অনুরাগ দেব্বর্মা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে এলাকাবাসীদের থেকে সব সত্যতা জেনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
এখন দেখার বিষয় অভিযুক্ত দুই তহশীলদার রতন মনি ত্রিপুরা ও বিক্রম চাকমার বিরুদ্ধে গোমতী জেলায় আধিকারিক তরিৎ কান্তি চাকমা এবং করবুক মহকুমার এস ডি এম কতটুকু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য গত আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন দল-মত নির্বিশেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা মিলবে। এবং কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতায় কোন ধরনের দলমত না দেখেন।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে কিছু সরকারি কর্মী এভাবে নিজেদের পকেট গরম করার জন্য এবং ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে যখন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে তখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এটাই কি দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন? মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয়রা দাবি তোলে যাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।