দুই হাজার টাকা কেজিতে হরিণের মাংস বিক্রি করতে গিয়ে বন কর্মীদের হাতে আটক অটো চালক সুনীল দাস! তৃষ্ণা অভয়ারন্যের কর্মীরা তাকে হাতেনাতে আটক করেছেন!!উদ্ধার হয় হরিণের মাংসও।
মানুষের ‘লালসার শিকারে’ প্রাণ গেল এক নিরীহ প্রাণীর। শুধু তাই নয়, হরিণ যেখানে শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, সেখানে বেআইনিভাবে হরিণ শিকার করে মাংস ২০০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে । যদিও বা বনদপ্তরের আচমকা অভিযানে হরিণের মাংস আর বিক্রি করতে পারে নি চোরা শিকারিরা । মাংস সহ এক অটোচালককে গ্ৰেপ্তার করে তৃষ্ণা অভয়ারেঞ্জের বনদপ্তরের কর্মীরা । বগাফা , কাকুলিয়া, রাজনগর তৃষ্ণা অভয়ারেঞ্জের বনদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিলোনিয়া মহকুমার মাইছড়া এলাকায় হরিণের মাংস বিক্রি করার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে এই অভিযান চলে। মোট সাত কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, এই অটোচালকের গাড়ির ভিতর থেকে মাংস উদ্ধার করে বনদপ্তরের কর্মীরা । পাশাপাশি অটোর মধ্যে এবং অটো চালকের হাতে রক্তের সন্ধান পায় তৃষ্ণা অভয়ারেঞ্জের বনদপ্তরের কর্মীরা । যদিও বা ধৃত অটো চালক হরিণের মাংস বিক্রি করে নি এবং হরিণ শিকার কান্ডের ঘটনার সাথে জরিত নেই বলে দাবি করেছেন।
অভয়ারেঞ্জের বনদপ্তরের কর্মীরা ধৃত অটো চালককে জিজ্ঞাসা বাদ চালাচ্ছে এই হরিণ শিকার কান্ডে কে কে জড়িত। ধৃত অটো চালকের নাম সুনীল দাস। সুত্রে খবর চোরা শিকারিরা কয়েক দিন পরপর হরিণ শিকার করে এনে মাইছড়া ঐ এলাকায় বিক্রি করে। অভায়ারেঞ্জের কর্মীরা ঘুণাক্ষরেও টের পায় নি। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিণের মাংস উদ্ধার সহ ধৃত এক অটো চালক।