জম্বু কাশ্মীরে শহীদ হলেন রাজ্যের বীর সন্তান শুভঙ্কর ভৌমিক। তাঁর বাড়ি অমরপুর বীরগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায়। ইন্ডিয়ান আর্মিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। শোকস্তব্ধ পরিবার এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না শুভঙ্কর নেই। বুধবার রাজ্যে ফিরবে তাঁর কফিনবন্দি দেহ। বৃহস্পতিবার বাড়িতে নিয়ে আসা হবে শুভঙ্করের কফিনবন্দি দেহ।শুভঙ্করের বাবা সুকুমার ভৌমিক জানান, তার বড় ছেলে সিআরপিএফ -এ চাকরিরত। দ্বিতীয় ছেলে শুভঙ্কর আর্মিতে চাকরিরত ছিলেন। ছোট ছেলে বাড়িতে থাকে।
মঙ্গলবার সকালে ছোট ছেলের কাছে ফোন আসে তার ভাই আর নেই। জম্বু কাশ্মীরের সিয়াচেনের গেলেশিয়া এলাকায় তুষার ধসে মৃত্যু হয়েছে। তাকে ঘটনাস্থল থেকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা জন্য অন্যান্য জওয়ানরা রওনা হয়েছিলেন সেই সময় শুভঙ্কর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। গত অক্টোবর মাসে শুভঙ্কর বাড়িতে এসে তার স্ত্রী ও শিশু কন্যা সহ সকলের সাথে আনন্দ উপভোগ করে আবার চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু এই দশ দিন ছুটি যে তার পরিবারের সাথে কাটানোর জন্য ভাগ্যের শেষ সুযোগ সেটা কেইবা জানতো।
একমাস আগে ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পে যোগদান করেছিলেন। আর হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে না শুভঙ্কর। ঘরের স্ত্রী অপেক্ষায় থাকবে না কবে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরবে তার স্বামী। স্বামীর শহীদের খবর বাড়ি পৌঁছাতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন স্ত্রী। শুভঙ্করের বাবা জানায়, ১৫ বছর আগে তার ছেলে শুভঙ্কর চাকরি পেয়েছিল। বর্তমানে তার বয়স ৩৩ বছর। তার শহীদ হওয়ার খবর পেয়ে বুঝে উঠতে পারছে না কিবা বুঝ দেবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। ছেলে তো আর ফিরছে না, ফিরবে তাঁর কফিনবন্দি দেহ।