আমরা যখন আইনের দরজায় যাই তখন পুলিশ বাবুরা আমাদের প্রায় সময় আইন সম্পর্কে নানান বর্ণনা দিয়ে থাকেন, বিশেষ করে এই আইনের মর্যাদা রক্ষার্থে তারা দিন রাত এক করে কাজ করেন এমন গল্প প্রতি সময় শুনতে হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে একাংশ পুলিশ বাবুরা এমন কিছু কার্য সংঘটিত করে থাকেন, তার নিরিখে বলতে হয় পুলিশ আইনের রক্ষক! নাকি পুলিশ নিজের প্রয়োজনে আইন’কে নিয়ে ছেলে খেলা করছেন?এই প্রশ্নের উত্তর বিবেচনার ভার আমাদের দর্শক শ্রোতাদের।আজকের এই প্রতিবেদনের মধ্যে দিয়ে আমরা ত্রিপুরা পুলিশের এক এসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের উপাখ্যান তুলে ধরার চেষ্টা করছি। মাননীয় এই মহাশয় তেলিয়ামুড়া থানার এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর দ্বিজু চন্দ্র দাস।
দীর্ঘদিন ধরেই তেলিয়ামুড়া থানার এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর বাবুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে পরিবার প্রতিপালন করার তাগিদে দাস বাবু নাকি আদায়ের রাস্তাটা খুব ভালোভাবেই শিখে নিয়েছেন, এমনটাই বলছেন অটো চালক মহল সূত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংশের সূত্র। এবং এই ঘটনার কিছুটা হলেও সত্যতা পাওয়া গেছে শনিবার সন্ধ্যায়, যখন তেলিয়ামুড়া থানার এসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর দ্বীজু চন্দ্র দাস কয়েকজন সহকর্মী’কে নিয়ে তেলিয়ামুড়া শহরের নেতাজি নগর কমিউনিটি হলের সামনে ভাইকেল চেকিং করছিলেন।
এমন ছবিও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে সত্যি সত্যিই গরীব যানচালকদের কাছ থেকে ৫০ টাকা, ১০০ টাকা পর্যন্ত চা-মিষ্টি’র জন্য প্রণামী আসছে এবং পাশের মিষ্টি দোকান থেকেই রকমারি মিষ্টি খাচ্ছিলেন দ্বিজু বাবু এন্ড কোং।খেতেই পারেন, আদায়ের টাকা বলে কথা, মধুমেহ রোগের ভয়’কে উপেক্ষা করে খান, বেশি করে খান! আমাদের আপত্তি নেই। তবে মিষ্টি খান, আর পরিবারের জন্য ভালো ভালো খাবার বা পোশাক গরীব যান চালক থেকে শুরু করে বাইক চালকদের কাছ থেকে আদায় করবেন, সাধারণ মানুষ চুপ করে বসে থাকবে, সংবাদ মাধ্যম কথা বলবে না এমনটা কিন্তু হচ্ছে না সাহেব! আমরা কিন্তু আপনার সমস্ত ঘুষ এবং তোল্লা আদায়ের তথ্য প্রমাণ একত্রিত করেই সাধারণ মানুষের হয়ে কন্ঠ জোরালো করছি।
এদিকে আরেক জোরালো অভিযোগ হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে তেলিয়ামুড়া থানার ওসি রাজীব দেবনাথের চুলহীন উর্বর মস্তিষ্কের দারুন নকশায় তীর জুয়া থেকে শুরু করে অসামাজিক কাজের রীতিমতো উন্মাদ নগরীতে পরিণত হয়েছে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকা। পরিস্থিতি বর্তমানে যা দাঁড়াচ্ছে তাতে ওসি থেকে শুরু করে তেলিয়ামুড়া থানার একাংশ ইন্সপেক্টর, একাংশ সাব-ইন্সপেক্টর বা একাংশ এসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর যেভাবে ক্রমান্বয়ে সাধারণ মানুষ’কে সুস্থ সমাজ গঠন করে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আর এই সব কিছুর নিরিখে তেলিয়ামুড়া থানা এলাকায় খুব সহসাই যদি তেলিয়ামুড়া থানার বর্তমান একাংশ পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মানুষ ক্ষোভ সংঘটিত করে তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না, পরিস্থিতি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।।