স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার স্ত্রী। মারধোর করে দুই সন্তান সহ জননীকে তাড়িয়ে দিলো স্বামী। অবশেষে দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করায় স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করলো। এমনি একটি নেক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঊনকোটি জেলার ফটিকরায় থানাধীন রাতাছড়া গ্রামে। বিবরণে প্রকাশ, এই গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত প্রফুল্ল রুদ্র পালের ছেলে নীলকান্ত রুদ্র পালের সঙ্গে চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ী গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বকুল রুদ্র পালের মেয়ে শিল্পী রুদ্র পালের ধর্মীয় রীতি মেনে বিগত চৌদ্দ বছর পূর্বে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর থেকেই তাদের সংসারে নেমে আসে চরম অশান্তি। স্ত্রী শিল্পীর অভিযোগ প্রতিরাতেই নাকি সে মদমত্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে তাকে মারধর করতো এবং বাপের বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বলতো। এভাবে নিত্যদিনের যন্ত্রণা সহ্য করতে থাকে সে। একাধিকবার তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করে শিল্পী। ইতিমধ্যে তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে চরম মদমত্ত স্বামী নীলকান্ত স্ত্রীকে ব্যাঙ্গালোর নিয়ে চলে যায় কাজের সন্ধানে। সেখান থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে সে রাতাছড়া স্থিত নিজের বাড়িতে ফিরে যায় এবং অপর এক সন্তানের জননীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ করে শিল্পী।
এরপর শিল্পী চুরাইবাড়ি স্থিত তার বাপের বাড়িতে থেকে দুটি সন্তানকে নিয়ে চরম দরিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করতে থাকে এবং সার্বিক বিষয় উল্লেখ করে চুরাইবাড়ি থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে। যেহেতু ফটিকরায় থানা এলাকায় বাসিন্দা তার স্বামী নীলকান্ত সেই মোতাবেক চুরাইবাড়ি থানার ওসি খোকন সাহা মামলাটি ফটিকরায় থানায় পাঠিয়ে দেন। অপরদিকে গৃহবধূ শিল্পী জানায়, বিয়ের পর থেকে তার উপর চরম অত্যাচার ও মারধরের ঘটনা একাধিকবার গ্রামের মাতব্বরদের নিয়ে সামাজিক বিচারক হয়েছে কিন্তু তাতেও কোন ফলপ্রসূ হয়নি। তাই যেহেতু সার্বিক বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে তাই এখন দেখার বিষয় পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে কুলাঙ্গার স্বামী নীলকান্ত রুদ্র পালের বিরুদ্ধে।