১৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেস দিবস। সমগ্র দেশের সাথে রাজ্যেও পালন করা হয় জাতীয় প্রেস দিবস। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে দিনটি উদযাপন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পিকে চক্রবর্তী, অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা করেন মন্ত্রী টিংকু রায়। পরে তিনি অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর রাজ্যের সংবাদ মাধ্যম গুলিকে নিয়ে কাজ করছে।
সাংবাদিকদের পেনশন ১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। যদিও খুব কম সংখ্যক সাংবাদিক বর্তমানে ১০ হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের ৫ জন সাংবাদিক ১০ হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছে। কেন এই সংখ্যাটি কম তা খতিয়ে দেখার জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিবের প্রতি আহ্বান জানান। বর্তমান সরকারের সময়ে সাংবাদিকদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করা হয়েছে। আগরতলা প্রেস ক্লাবের লিফট প্রতিস্থাপন করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিজ্ঞাপন নীতি পরিবর্তন করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সংবিধান সংবাদ সাংবাধিকদের বাক স্বাধীনতা দিয়েছে। আধুনিকতার যুগে বর্তমানে যে কোন ঘটনা ঘটলে মানুষ সাথে সাথে জানতে পারছে।
সংবাদ পরিবেশনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই সত্য সংবাদ পরিবেশন করা অত্যন্ত জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি আরও বলেন সামাজিক মাধ্যম গুলি বর্তমানে সংবাদ মাধ্যমের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার পাশাপাশি মিডিয়া হাউস গুলি চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মী স্বল্পতা। কারন বর্তমানে মিডিয়া হাউসের জন্য কর্মী পাওয়া যায় না।সংবাদ মাধ্যমের সমস্যা গুলি নিরসনে সরকার সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি রাজ্যের মিডিয়া হাউসের সমস্যা গুলি সমাধানের জন্য মিডিয়া হাউস গুলিকে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সরকারও এগিয়ে আসবে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে এইদিন রাজ্যের বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের কর্ণধার সহ রাজ্যে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।