মডেল রাজ্যে সুশাসনের জমানায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজত্বে গণবন্টন ব্যবস্থায় নাকি যুগান্তকারীপরিবর্তন এসেছে বলে ঢাক পেটাচ্ছে জোট সরকারের নেতা মন্ত্রীরা।অথচ এই গণবন্টন ব্যাবস্থা হাল আমলে বিপর্য্যস্ত।চলছে দুর্নীতি।বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তারা।এবার খোয়াইয়ে গণবন্টন ব্যাবস্থায় বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলো।শারদোৎসবের বরাদ্দ করা আটা উধাও।সারা মহকুমায় কোথাও কোন রেশন সপ থেকে এক গ্রাম আটাও জুটেনি এবার ভোক্তাদের।কোথায় গেল শারদোৎসবে বরাদ্দ করা আটা! ভোক্তারা কেন বঞ্চিত! তদন্তের দাবী করেছে সি পি আই ( এম)– র খোয়াই মহকুমা কমিটি।তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বরাদ্দ করা আটা ভোক্তাদের মধ্যে রেশন সপ থেকে দ্রুত বন্টন করে দেওয়ার দাবী করেছে পার্টির মহকুমা কমিটি।শুক্রবার মহকুমা কমিটির উদ্যোগে এস ডি এম — কাছে ডেপুটেশন প্রদান করে উপরোক্ত দাবী জানিয়ে পার্টির মহকুমা কমিটি।
শারদোৎসব উপলক্ষ্যে সরকার এবার ঘোষণা করে যে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে রেশন সপ থেকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে প্রতি ভোক্তাকে তের টাকা কেজি দরে এক কেজি করে আটা বন্টন করা হবে।৪ঠা সেপ্টেম্বর তারিখে Memo No.F.5—5(1)– PP(PD)/DF/2024/9411 মূলে সরকারের খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তর এই ঘোষণা দেয়। খোয়াই মহকুমার জন্য মোট ১৫০মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ করা হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে।কিন্তু খোয়াই মহকুমার কোন রেশন সপ থেকে এখন পর্য্যন্ত কোন ভোক্তাকেই এখন পর্য্যন্ত এক গ্রাম আটা বিলি করা হয়নি।অথচ সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এই আটা রেশন সপ থেকে প্রতি ভোক্তা তের টাকা কেজি দরে পাওয়ার কথা।শারদোৎসব চলে গেছে অক্টোবর মাসে।এখন নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি।কিন্তু মহকুমার রেশন সপগুলো এখন পর্য্যন্ত এক গ্রাম আটাও দেননি ভোক্তাদের।বরাদ্দ করা আটার দেখা নেই।সব আটা কি উধাও! এখন পর্য্যন্ত কেন এই বরাদ্দ করা আটা অদৃশ্যমান!উঠেছে প্রশ্ন।অথচ সরকার বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর বেখবর! নাকি জেনেও রহস্যজনক কারণে চুপ দপ্তর! কোথায় গেল আটা! ক্ষোভে ফুঁসছে ভোক্তারা।সি পি আই ( এম)– র খোয়াই মহকুমা কমিটির এক প্রতিনিধিদল শুক্রবার মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট চারু ভার্মার সাথে তার অফিসকক্ষে সাক্ষাত করে ডেপুটেশন প্রদান করে।
শারদোৎসবের সময় বরাদ্দ করা আটা ভোক্তাদের মধ্যে রেশন সপ থেকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে বন্টন না করার অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিযোগের তদন্তক্রমে কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত দপ্তরের আধিকারিক , কর্মী সহ অন্যান্যদেরকে চিহ্ণিত করার দাবী জানান সি পি আই ( এম)– র প্রতিনিধিদল।একইসাথে কেলেঙ্কারির সাথে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবী জানানো হয়েছে।কী কারণে বরাদ্দ করা আটা থেকে ভোক্তারা বঞ্চিত তা তদন্ত করে বের করার দাবীও জানানো হয়েছে।একইসাথে বরাদ্দ করা আটা দ্রুত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত দরে রেশন সপ থেকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে ভোক্তাদের মধ্যে সরবরাহ করার দাবী জানিয়েছে সি পি আই ( এম)-‘ র খোয়াই মহকুমা কমিটি।যাতে ভোক্তারা তাদের নায্য পাওনা থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত না হয়।
এদিন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ডেপুটেশন প্রদান কালে প্রতিনিধিদলে ছিলেন পার্টির মহকুমা কমিটির সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা, রাজ্য কমিটির সদস্য বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ ভৌমিক, মহকুমা কমিটির সদস্যদ্বয় মনোজ দাস ও গৌতম পাল।মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন প্রতিনিধিদলের সদস্যদের।উল্লেখ্য যে, খোয়াই মহকুমায় একশোর বেশী রেশন সপ রয়েছে।মোট রেশন কার্ডের সংখ্যা ৪৫হাজার ৩৮৪টি।রেশন কার্ডগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১লক্ষ ৬২হাজার ৮৩৬জন ভোক্তার নাম।মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তুলে দেওয়া স্মারকলিপির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তার কাছেও।