সাবধান, সচেতন থাকুন ঠকবাজ প্রতারকদের কাছ থেকে। যাচাই বাচাই না করে কারোর কাছ থেকে কিছু কিনবেন না। বিশেষ করে বাড়ির মহিলারা এই প্রলোভনে পা দেবেন না। সোনা বা স্বর্নের কথা শুনলে কার না ভালো লাগে। মহিলা হোক বা পুরুষ হোক সবারই পছন্দ স্বর্ণ । এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু ঠকবাজ প্রতারক । শুক্রবার দুপুরে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলো বিলোনিয়ার মির্জাপুর এলাকাবাসীরা। যদিও বা ঠকবাজ প্রতারককে এলাকা বাসীরা আটক করে পুলিশকে খবর দেয় । পুলিশ আসার পর ঠকবাজ প্রতারককে তুলে দিলো পুলিশের হাতে । এই ঠকবাজ প্রতারকের নাম আশিষ সাহা। বাড়ি আগরতলা সিদ্ধি আশ্রম সন্ত নগর এলাকায়। যদিও বা অভিযুক্ত আশিষ সাহা সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধির ক্যামেরার সামনে সাফাই গাইলেন, সিটি গোল্ড যে, এ বিষয়ে কিছু জানে না। এইটা নাকি শ্বাশুড়ি মায়ের পুরানো স্বর্ণ ।
বন্ধক রেখে টাকা নেওয়ার জন্য এসেছে মির্জাপুর এলাকার ননী গোপাল সাহার কাছে ভজন দাসের মারফতে। ননী গোপাল সাহা প্রথমতঃ মঙ্গল সুত্র, হার দেখে স্বর্ণ ভেবেছিল , এরপরই সন্দেহ হওয়াতে কথার বিনিময়ে জুয়েলারি দোকানে নিয়ে গিয়ে দেখানোর পর সন্দেহ সত্যি হলো, জিনিস গুলো স্বর্ণের না সিটি গোল্ডের । সাথে ঠকবাজ আশিষ সাহাও ছিল কিন্তু জুয়েলারি দোকানের মালিক পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেবে বলে বলার পর পালিয়ে চলে আসে। জানা যায় তিন দিন আগেও নাকি কয়েকটি জুয়েলারি দোকানে নকল স্বর্নের জিনিস গুলো নিয়ে গিয়েছিল বিক্রি করার জন্য কিন্তু সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও আর শেষ রক্ষা হয় নি সিদ্ধি আশ্রমের আশিষের ।
পরবর্তী সময়ে ঠকবাজ আশিষ সাহা মির্জাপুর এলাকার ননী গোপাল সাহার কাছে এসে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য । ননী গোপাল সাহা টাকা না নিয়ে এলাকাবাসীদের ঢেকে এনে ঘটনার বিস্তারিত জানাতেই আটক করে রাখে। পুলিশ আসার পর তুলে দেয় আশিষকে। এলাকাবাসীদের অভিমত, ননী বাবু বুঝতে পেরেছেন সেটা আলাদা ব্যাপার, কিন্তু বাড়ি বাড়ি গিয়ে যদি এ সকল প্রতারক ঘরের মহিলাদের সাথে প্রতারণা করে, তাহলে সহজ- সরল -অবুঝ গৃহিণীরাও যে প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হবে- সেটা একেবারেই বাস্তব। তবে এই ধরনের প্রতারণার উপযুক্ত শাস্তি চাইছে- প্রত্যক্ষদর্শী সহ গোটা দক্ষিণ মির্জাপুর এলাকাবাসী।