১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলাদেশের খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমার ধুলিহর গ্রামে জন্ম হয় তাঁর।মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। অভিনেতার বাবা অশোককুমার মিত্র এবং মা ছিলেন রাধারাণী মিত্র। প্রয়াত অভিনেতার বাবা গ্রামের প্রথম বি.এ পাশ ছিলেন। স্বাধীনতার পর কলতায় চলে আসেন তাঁরা। কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন মনোজ। একদিকে অধ্যাপনা এবং অন্য দিকে থিয়েটার দুদিকেই সমান আগ্রহ ছিল তাঁর। তাই অভিনেতা চেয়েছিলেন কলকাতার কাছের এমন কোনও কলেজে যোগ দিতে যেখানে চাকরি করতে করতে তাঁর থিয়েটার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। যদিও তাঁর থিয়েটার করাতে একেবারেই মত ছিল না অভিনেতার বাবার।
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকারকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অশীতিপর অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয়। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার রক্তচাপ খুবই কমে গিয়েছিল। এর পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে অসুস্থতা পিছু ছাড়েনি। এ বছর একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বছরের শুরুতেই বুকে প্রেসমেকার বসেছিল মনোজ মিত্রেরযদিও পরবর্তীকালে দুই দিকই সমান তালে সামলেছেন তিনি। মনোজের তৈরি নাট্যদলের নাম ছিল ‘ঋতায়ন’। যেখানে তিনি নাট্যকার এবং নির্দেশক দুই ছিলেন।
তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘অবসন্ন প্রজাপতি’, ‘নীলা’, ‘মৃত্যুর চোখে জল’, ‘সিংহদ্বার’, ‘ফেরা’-সহ আরও অনেক নাটক। এছাড়াও বহু বহু বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। খলনায়ক হিসাবেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। তাঁর অভিনীত বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘শত্রু’, ‘তিন মূর্তি’, ‘দামু’ প্রমুখ। বহু দিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্য বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে পড়িয়েছেন। ২০০৩ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।