নেশার মৃগয়া ভূমিতে পরিণত উত্তর জেলা,এবার আটক পৌনে চার কোটি টাকার নিষিদ্ধ ইয়াবা,ধৃত এক।
নেশার মৃগয়া ভূমিতে পরিণত হয়েছে উত্তর জেলা।যদিও নেশা পাচারের উর্বর ভূমি দামছড়া থানা এলাকা। কখনো আবার চুরাইবাড়ি থানাকে ব্যবহার করে নেশা সামগ্রী পাচার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দামছড়া থানার কনস্টেবল সন্তোষ শীল যে বর্তমানে মাদক মামলায় জেলে রয়েছে এবং দামছড়া থানার ওসি সঞ্জয় মজুমদার ও সেকেন্ড ওসি ডেবিড ডার্লং যিনি গত কিছুদিন পূর্বে গাড়ি দূর্ঘটনায় মারা গেছেন তাদের নাম একাধিকবার উঠে এসেছিল। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে আজ পর্যন্ত দামছড়া থানার ওসি সঞ্জয় মজুমদারের বিরুদ্ধে কোন বিহীত ব্যবস্থা গ্রহনের সাহসটুকু দেখায় নি রাজ্য পুলিশের হেড কোয়ার্টার। দুদিন পূর্বে বিভিন্ন থানার ওসিদের রদবদল হলেও দামছড়া থানার ওসি সেই সলিড সেটিং নিয়ে নিজ জায়গাতেই অবতীর্ণ আছেন।তাতে করে রাজ্য পুলিশের দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।আসলে পুলিশ তুমি কার ,,,,নেশা কারবারীদের নাকি আম জনতার? যাই হোক,রবিবার রাত আনুমানিক পৌনে দশটা নাগাদ পানিসাগর থানার পুলিশ থানার নাকা পয়েন্টে আগরতলা অভিমুখী AS01BY/0198 নম্বরের একটি বিলাসবহুল মারুতি গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির দরজার ভেতরে লুকিয়ে রাখা ৭৫০ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ।তখন পানিসাগর থানার ওসি সুমন্ত ভট্টাচার্য সহ পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেববর্মা ও একজন ডিসিএম সামনে ছিলেন।সাথে আটক করা হয় গাড়ির আসনে চালক বেশী নেশা পাচারকারী রতন নমঃশূদ্রকে।তার বাড়ি অসমের করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানা এলাকায় বলে জানা গেছে।
এদিকে মহকুমা পুলিশ সৌম্য দেববর্মা জানান,আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের উপর নাকা পয়েন্টে গাড়িটিকে তল্লাশি করে দেড় লক্ষ নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে।যার কালোবাজারি মূল্য আনুমানিক পৌনে চার কোটি টাকা।এই ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি অসম থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।অপরদিকে সৌম্য দেববর্মা আরো জানান, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটের সাথে আটক এক নেশা পাচারকারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি আট নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক ধরে পানিসাগরের এসে পৌঁছেছিল। অর্থাৎ চুরাইবাড়ি ও বাগবাসা থানার বুক চিরে অনায়াসেই পানিসাগর মহকুমায় প্রবেশ করে। তাছাড়া পানিসাগর থানার একটি বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে, ত্রিপুরা পুলিশকে ম্যানেজ করেই এতো বড় অঙ্কের ইয়াবা রাজ্যে প্রবেশ করিয়েছিল পাচারকারীরা,যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।কিছুদিন পূর্বেও আমবাসা থানার ওসি গুরুপদ দেবনাথ আড়াই কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট আটক করে পরের দিন তাঁকে বদলির মুখে পড়তে হয়।তাহলে যে এবার পানিসাগর থানার ওসি সুমন্ত ভট্টাচার্যও বদলির মুখে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও ঐদিন আড়াই কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি দামছড়া থানা ভায়া পানিসাগর থানা হয়ে আমবাসা গিয়ে আটক হয়েছিল। যেহেতু শষ্যের মাঝেই লুকিয়ে ভূত,তাই মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবতা পেলো কোথায়।