শুক্রবার খুমুলুঙ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে, দেওয়ালী পূজার প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সাংবাদিক, মিডিয়া হাউসের চিফ এডিটর এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের স্টেট গেস্ট হাউসে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ডঃ বিপিন দেববর্মা। সভার শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীকে ত্রিপুরার জনজাতিদের ঐতিহ্যবাহী রিসা এবং ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানান খুমুলুঙ প্রেসক্লাবের সভাপতি অংশুময় দেববর্মা এবং সেক্রেটারি রঞ্জিত দেববর্মা। জনজাতি মহিলা সাংবাদিক এবং অন্যান্য মিডিয়া সংগঠনের কর্মকর্তারাও এই সংবর্ধনায় অংশ নেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনজাতি সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত জীবনের বিভিন্ন সমস্যা, সরকার প্রদত্ত স্কিম এবং তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন। জনজাতিদের ছয় জন প্রবীণ সাংবাদিক এই আলোচনায় অংশ নেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধীনে ৩৩ জন প্রবীণ সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত এডভাইজারি কমিটিতে জনজাতি সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে খুমুলুঙ প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি রঞ্জিত দেববর্মা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে পুনরায় পর্যালোচনার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া রাজ্যের সমস্ত মিডিয়া হাউসের জন্য একটি মিডিয়া সেন্টার স্থাপন এবং আগরতলায় সাংবাদিকদের জন্য সরকারিভাবে আবাসন তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রঞ্জিত দেববর্মা বলেন, “বর্তমান সরকারের অধীনে সাংবাদিকরা আরও নিরাপদে, স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। সেই সাথে নতুন প্রজন্মের জনজাতি সাংবাদিকরা এই পেশায় আসার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।” তিনি আরো জানান, পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় বর্তমান সরকারের আমলে জনজাতিদের স্বাধীনতার পরিসর বেড়েছে, যা এই পেশায় নবীনদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও পর্যালোচনার আশ্বাস:
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, “একটা সময় ছিল যখন এখানে স্বাধীনতা বলতে সি রাজ্যে জাতি এবং জনজাতিদের মধ্যে বিভেদ ছিল, যা রাজ্যের শান্তি নষ্ট করেছি পরিবর্তনের পর রাজ্যে ফিরে এসেছে শান্তি, স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপ বিশাল সংখ্যক জনজাতি সাংবাদিকদের দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। আমাদের লক্ষ্য শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠন করা, যা জনজাতি সাংবাদিকদের সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়। তা সময়োপযোগী এবং সেগুলো নিয়ে সরকার যথাযথ চিন্তা-ভাবনা করবে।”
তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের এডভাইজারি কমিটির প্রসঙ্গে তিনি জানান, কমিটির প্রথম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলেতনা হবে এবং প্রয়োজনে কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।