ভালোবাসা বুঝে জাতি ধর্ম বর্ণ এমনই এক অভিযোগ উঠে আসলো কলমচৌড়া থানা দিন মানিকনগর এলাকায়।গত ২২ তারিখ মানিক্যনগর গ্রামের জিম্পি দাস(১৯)পিতা স্বপন দাস এবং নয়নজলা দুপুরিয়াবান্দ এলাকার ফারুক ইসলাম(২২)পিতা আবুল ইসলাম ছেলের পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় বক্সনগর এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিড়াট ফাটল দেখা দিয়েছে।ঘটনার পর থেকে কলমচৌড়া থানার পুলিশ এবং এলাকার বিধায়ক সোনামুড়া মহকুমার অনেক জায়গায় খুঁজা খুঁজির পরও তাদের খবর পাওয়া যায়নি।পরে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে মেয়ে জানায় সে তার নিজের ইচ্চায় ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছে এবং গত একমাস আগে নাকি তাদের বিয়ে হয়েছে কোর্টে এবং নাম পরিবর্তন করে তার নাম রাখা হয় জিম্পি বেগম।
আজ এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে মানিক্যনগর এলাকার প্রায় ১০০/১৫০ জন লোক থানায় ডেপুটেশন প্রদান করে। তাদের মেয়েকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং এলাকার মধ্যে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতে কোন বিভাজন সৃষ্টি না হয়।আগামি দিন যাতে এলাকার শান্তি বজায় থাকে এদিকে দৃস্টি রাখার আবেদন জানান এবং তাও জানান পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলন করবে এলাকার মানুষ যদি মেয়ে উদ্ধার করে না দেওয়া হয়।কলমচৌড়া থানার ওসি নারু গোপাল দেব জানান প্রশাষনের পক্ষ থেকে সমস্ত চেস্টা করা হচ্ছে মেয়েকে উদ্ধার করতে এবং ডেপুটেশন কারী দেরকেও সাহায্য করার জন্য দাবী জানান।
মেয়ের বক্তব্য শুলনে বোঝা যায় মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সে নিজের ইচ্ছা তে বিয়ে করেছে এবং বাড়ি থেকে সে পালিয়েছে বর্তমানে তারা চেন্নাইতে আছে বলে জানা যায়।পরিবার সূত্রে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে মেয়েটি কলেজের উদ্দেশ্য করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে নয়নজলা এলাকার যুবক ফারুক ইসলাম নাকি তাকে জোরপূর্ব মানিক্যনগর শীল চৌমনি থেকে গাড়ি করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাদের মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় এই বিষয়ে কলমচৌড়া থানাতে একটি লিখিত মামলা করা হয়।
আজ সকাল ১১ সময় কলমচৌড়া থানাতে তারা ডেপুটেশনের মাধ্যমে আবেদন করেন যে তাদের মেয়েকে যেন ফিরিয়ে এনে দেয় এবং দুই সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে মিলেমিশে থাকতে পারে এই বার্তাটি দেন পরিবারের তরফ থেকে পাশাপাশি এই কথাটিও বলেন যদি তাদের মেয়েকে 48 ঘণ্টার মধ্যে না ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তারা তীব্র আন্দোলনে সামিল হবেন। এছাড়া এই বিষয়টি তারা সংবাদ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মাননীয় সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব মহাশয় এর কাছেও আবেদন করেন যেন তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়।এতে করে মানিক্য নগর এলাকার দুই সম্পদের মানুষের মধ্যে সুভ্রাতিত্য টিকে থাকে।এখন দেখার বিষয় পুলিশ প্রশাসন তাদের ধরতে পারে কিনা সে দিকেই তাকিয়ে আছে মানিকনগর এলাকার জন সাধারণ ও মেয়ে হারা মা এবং বাবা।