হাতে গোনা আর মাত্র পাঁচদিন বাকি শ্যামা মায়ের পূজা ও দীপাবলি উৎসব। তার পরিপ্রেক্ষিতে কমলপুর মূর্তি পাড়ায় মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। আর মাত্র পাঁচদিন পর শ্যামা মায়ের পূজা ও দীপাবলি উৎসব। মহকুমার ছোট বড় ক্লাব ও পাড়ার অলি গলিতে মেতে উঠবে শ্যামা মায়ের পূজা ও দীপাবলি উৎসবে। কমলপুর ফুলছড়ি মূর্তি পাড়ায় শ্যামা মায়ের মূর্তির বয়ান করা হয়েছে। মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শ্যামা মায়ের মূর্তি গড়তে।এমন দেখা ফুলছড়ি মূর্তি পাড়ায় মৃৎশিল্পী সন্দীপ ভট্টাচার্য্য কে। এবার তিনি ৪০টি কালী মূর্তি অর্ডার পেয়েছেন। দফায় দফায় বৃষ্টির কারণে কাজের ব্যাঘাত ঘটে। আজ আকাশে সূর্যের উকিতে কালী মায়ের মূর্তি গুলি বাইরে এনে শুকানোর চেষ্টা করছেন।
মৃৎশিল্পী সন্দীপ ভট্টাচার্য্য বলেন, উনার শিল্পালয়ের নাম “সুনতি প্রতিমা শিল্পালয়” এবার তিনি ৪০ টি কালী মূর্তি অর্ডার পেয়েছেন। কারখানায় ১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। প্রতিমা তৈরীর উপর নির্ভরশীল সংসার। প্রতিমার সাজসরঞ্জাম দোকান মালিকের কাছে থেকে বাকিতে এনে করেন। পরে প্রতিমা বিক্রি করে মালিকের টাকা মিটিয়ে দেন। এদিকে, দীপাবলি উৎসব। ফুলছড়ি পাল পাড়ায় কুমার শিল্পীরা মাটির ঘট সহ মাটির প্রদীপ বানিয়েছেন। কথা বলছিলাম সমীর পালের সাথে, উনি ৪০ বছর ধরে মাটির বিভিন্ন পূজার সামগ্রী বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। চায়না ইলেকট্রনিক্স টুনি বাল্বের দাপটের পরও উনার বানানো মাটির প্রদীপ কম বিক্রি হয় বলে জানান। এসব মাটির বিভিন্ন পূজার সামগ্রী বিক্রি করে কোন রকমে চলছে সংসার।