তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে কর্মরত বরুণ দেববর্মা নামের এক ব্যাক্তি কর্তৃক পাশবিক লালসার শিকার এক যুবতি। পাশবিক লালসার মতো নেক্কারজনক ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটে থানায় বসে উভয় পক্ষের মীমাংসার মধ্য দিয়ে। এই ঘটনায় ছিঃ ছিঃ রব খাঁকি বাবুদের ভূমিকা নিয়ে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে এ কোন আজব রাজ্যের গজব আইন-কানুন ব্যাবস্থা?
তেলিয়ামুড়া থানার অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ মূলে খবরে প্রকাশ, ২০২০ সালে নির্যাতিতা যখন মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে অভিযুক্ত বরুণ দেববর্মার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই অভিযুক্ত বরুন দেববর্মার স্ত্রী যখন বাড়িতে থাকতেন না সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নির্যাতিতা মেয়েটির উপর জবরদস্তি করতো বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। এদিকে দিন যত গড়াতে থাকে অভিযুক্ত বরুণ দেববর্মার কুকর্মের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে, ফলে নির্যাতিতা মেয়েটির উপর দীর্ঘদিন ধরেই চলতে থাকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার। এবং মেয়েটিকে অভিযুক্ত বরুণ দেববর্মা ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করত বলেও অভিযোগ। এই কারণে এতদিন ওই মেয়েটি কিছু না বললেও সাহস করে মঙ্গলবার তার পরিবারের লোকজনদের ঘটনা সম্পর্কে অবগত করলে পরিবারের লোকজনদের তৎপরতায় তেলিয়ামুড়া থানায় সুষ্ঠু বিচারের আশায় শরণাপন্ন হয় ওই মেয়ে সহ তার পরিবারের লোকজন।
পুলিশকে এ বিষয়ে জানানো হলে পুলিশ অভিযুক্ত বরুণ দেববর্মা’কে থানায় তুলে আনে। জানা গেছে, অভিযুক্ত বরুণ দেববর্মা তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরে কর্মরত।যদিও তেলিয়ামুড়া থানা থেকে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের দায়িত্ব ন্যাস্ত করা হয় এস.আই মনোজিত দেববর্মার উপর। এদিকে থানা সূত্রে খবর, আশ্চর্যজনক ভাবে এস.আই মনোজিত দেববর্মার উপস্থিতি’তেই অভিযোগকারিণী সহ তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে এবং অভিযুক্ত বরুণ দেববর্মার উপস্থিতিতে থানায় ঘটনাটি মীমাংসা হয়ে যায়, যার সত্যতা বেরিয়ে আসবে থানার সি.সি.টিভি ফুটেজ খুঁজে দেখলে। থানায় অভিযোগ করতে এসে, আচমকাই থানায় বসে এই ধরনের ঘটনার মীমাংসা’কে ঘিরে নানাহ রহস্যজনক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে জনমনে।
এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত খবর, অভিযুক্ত বরুণ দেববর্মাকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয় থানা থেকে এবং এই ব্যাপারে কোন মামলাও লিপিবদ্ধ হয়নি তেলিয়ামুড়া থানায়। বিষয়টা বোধগম্য না হবার মতো মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটনা ঘটে।