দীর্ঘদিনধরেই তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কুকুর, বেড়াল, বানর ইত্যাদির আক্রমনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় প্রতিষেধকের অভাব! ভাবতে অবাক লাগে, যেখানে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার দাবি জানানো হয়, সেখানে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস মহকুমা হাসপাতাল প্রতিষেধক শূন্য থাকছে। বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে যেই প্রতিষেধক পাওয়ার কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক হাসপাতালের বাইরের বিভিন্ন দোকান থেকে চড়া দামে কিনতেও বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, এমনটাই খবর। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক।
খবরে প্রকাশ, রবিবার রাতে তেলিয়ামুড়াতে কোন এক শিশু কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়, তারপর তড়িঘড়ি-পরিজনরা মহকুমা হাসপাতালে ঐ শিশুকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক দেওয়া যাবে না, কারণ হাসপাতালে মজুদ নেই। তখন হন্যে হয়ে ওই আক্রান্তিত শিশুটির উদ্বিগ্ন পরিজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে প্রতিষেধক আনতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
গোটা বিষয় নিয়ে সোমবার তেলিয়ামুড়া মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বললে উনার তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, বিগত কয়েক মাস ধরে সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিন শূন্যতায় ভুগছে মহকুমা হাসপাতাল। পাশাপাশি এটাও দাবি করা হয়েছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে নিয়ে যাওয়া হলেও যেহেতু গোটা রাজ্য জুড়েই প্রতিষেধক স্বল্পতা রয়েছে, তাই পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কুকুর ,বেড়াল, বানর ইত্যাদি আক্রমণ করলে যে প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক সেই প্রতিষেধক না পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করে কিনা।
হাসপাতালে নেই কুকুর বেড়াল বানর আক্রমণের প্রয়োজনীয় ঔষধ
Leave a comment