বিশালগড় থানা পুলিশের মুখে চুনকালি মেখে থানার ক্যান্টিনে সহ জুতার দোকানে চুরের দলের হানা!
সোজা পুলিশ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে থানার ক্যান্টিন জুতার দোকানে হানা দিলো চোরের দল। বিশালগড় থানার পুলিশের মুখে চুনকালি মেখে দিলো আজকের এই চুরির ঘটনা। জানা যায় বিশালগড় থানার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে চোরের দল থানা ক্যান্টিন সহ দীপ্তি দেবনাথ নামে এক ব্যবসায়ীর জুতার দোকানে রবিবার গভীর রাতে চোরের দল হানা দেয়। জানাযায় অন্যান্য দিনের মতো থানা সংলগ্ন জুতার ব্যাবসায়ী দীপ্তি দেবনাথের দোকানে হানা দেয়। দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণে নতুন জুতা চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল পাশাপাশি বিশালগড় থানার ক্যান্টিনেও হানা দেয় চোরের দল।
চোরের দল প্রথমে থানার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে থানার ক্যান্টিনে অর্থাৎ যেখান থেকে বিশালগড় থানার লকাপে থাকা অভিযুক্তদের খাওয়ার দেওয়া হয় সেই ক্যান্টিনের মধ্যে হানাদের চোরের দল। জানাযায় প্রতিনিয়ত বিশালগড় মহাকুমার বিভিন্ন এলাকায় জনগণের বাড়িতে চুরি কান্ড সংঘটিত করে চোরের দল রবিবার গভীর রাতে বিশালগড় থানা পুলিশের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে থানার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে থানার ক্যান্টিনে আনা দেয়। আর এই ক্যান্টিন সম্পূর্ণ পরিচালনা করেন দীপ্তি দেবনাথ। প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে বিশালগড় থানার মধ্যে দিয়ে ক্যান্টিনের মধ্যে চুরি কাণ্ড করতে পারে চোরের দল সেখানে বিশালগড়ের সাধারণ নাগরিক কতটুক চোরের হাত থেকে নিরাপদ সেই বিষয়ে আর না বললেই চলে। বিশালগড় থানার সদ্য জয়েন করা ওসি রানা চ্যাটার্জিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চোরের দল এই চোরের কাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবী মহল।
তাছাড়া বিশালগড় থানার সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরা বিশালগড় থানার সৌন্দর্য বহন করার জন্য লাগানো হয়েছে। যতগুলো সিসি ক্যামেরা রয়েছে বিশালগড় থানার আওতাধীন সমস্ত সিসি ক্যামেরা গুলো রয়েছে অকেজো। প্রশাসন সেই ব্যাপারে নীরব ভূমিকায়। থানার মধ্যে দিয়ে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে চোরের দল ক্যান্টিনে মধ্যে চুরির ঘটনা বোঝা যায় বিশালগড় থানার পুলিশ প্রশাসন কতটুকু দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যে সোমবার সকাল থেকে বিশালগড় থানার ক্যান্টিনে চুরির ঘটনা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশালগড় থানার ওসি রানার চ্যাটার্জি আদকি সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের আটক করতে পারবে কিনা সেটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। জানা যায় দীপ্তি দেবনাথ অনেক কষ্ট করে জুতার দোকান সহ থানার এই ক্যান্টিন টি পরিচালনা করেন। একদিন দেখতে দেবনাথ বিশালগড় থানা পুলিশের উপর ভরসা রেখে নির্দ্বিধায় বাড়িতে থাকেন।
কিন্তু সোমবার সকালে এসে ক্যান্টিন সহ দোকানের এমন অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিশালগড় থানার পুলিশ কি আদৌ রাতে তাদের কর্তব্য পালন করেন নাকি কুম্ভ নিদ্রায় থাকেন? প্রশ্ন জনমনে। প্রশাসনের অনেক টাকা খরচা করে লাগানোর সিসিটিভি ক্যামেরা যদি সঠিকভাবে সচল থাকতো তাহলে উত্তর চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের অনায়াসে পুলিশ আটক করতে পারত। কিন্তু না পুলিশ প্রশাসন সে সমস্ত সিসি ক্যামেরা গুলি সচল রাখার জন্য কখনো কোনো রকম ভূমিকা গ্রহণ করে না যখন কোনরকম দুর্ঘটনা কিংবা চুরি ঘটনা ঘটে তখনই পুলিশ প্রশাসন সেই সমস্ত ক্যামেরার প্রতি নজর আসে।
বিশালগড় থানা পুলিশ প্রশাসন কিন্তু বাঁকা পথে টাকা ইনকাম করার জন্য সর্বদা জায়গা থাকেন কিভাবে মানুষের কাছ থেকে বাঁকা পথে টাকা রোজগার করা যায় সে বিষয়ে কিন্তু ভালো পথ তাদের জানা রয়েছে। বিশালগড় থানার একাধিক পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কয়েকবার তাদের বিভিন্ন অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করার পর শাস্তি স্বরূপ অনেক অফিসারকে ইনডোর করে রেখেছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভিজে রেড্ডি ।তারপরও এরকম পুলিশ অফিসার নিজেকে সংশোধন করে সঠিক পথে চলার জন্য চেষ্টা করেন না। পুলিশ যদি তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করত তাহলে রবিবার গভীর রাতে পুলিশ ক্যান্টিন সহ জুতার দোকানে এ চুরির ঘটনা করতে একবার হলেও চোরের দল ভয় নামক শব্দটা নিয়ে চিন্তা করতো।