অবশেষে হাসপাতাল থেকে পলাতক খুনের আসামিকে জালে তুলে মান রাখলো উত্তর জেলার পুলিশ।অবশেষে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর স্হিত জেলা হাসপাতাল থেকে পলাতক খুনের আসামিকে জলেবাসার মাধবপুর স্হীত তার নিজ বাড়ি থেকে জালে তুলে মান রাখলো উত্তর জেলার পুলিশ।ধৃত আসামির নাম দিলীপ নাথ (৩৮)।বাড়ি পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত জলাবাসা মাধবপুর এলাকায়।জানা গেছে নিজের স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ২০২১ সালে পানিসাগর থানার পুলিশ ১৭ নম্বর মামলায় অভিযুক্ত স্বামী দিলীপ নাথকে গ্রেফতার করে। তারপর ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করলে তার ঠাঁই হয় ধর্মনগর সাব জেলে।
সেই সময়ে জেলে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার লোক না থাকায় আদালত তাকে নিজস্ব জামিনে মুক্তি দেয়।পরবর্তীতে এই অভিযুক্ত আদালতে মামলা চলাকালীন হাজির না হওয়ায় তাকে চলতি মাসের ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পুনরায় আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পানিসাগর থানার পুলিশ।আদালতের মাননীয় বিচারপতি পুনরায় ঐ অভিযুক্তকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।কিন্তু ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত আসামিকে জেলে আনার পর থেকে সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়।আর ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া না করায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে এদিন রাত অনুমানিক সাতটা নাগাদ আসামি দিলীপকে ধর্মনগর সাব জেল থেকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।আসামীর অবস্থা দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।আর পুলিশ কর্মীদের নজরদারিতে চলে চিকিৎসা।কিন্তু এদিন রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটা নাগাদ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আসামি পালিয়ে যায়।এই ঘটনা সামনে আসার পর আদা জল খেয়ে পলাতক আসামির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।সাথে মুখ রাখতে আসামির পাহারায় থাকা দেবানন্দ সিনহা নামের এক পুলিশ কর্মীকে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অবশেষে অনেক নাটক মঞ্চস্থ হবার পর সোমবার বিকেল আনুমানিক পৌনে পাঁচটা নাগাদ জলেবাসার মাধবপুর স্হীত তার নিজ বাড়ি থেকে পানিসাগর ও ধর্মনগর থানার পুলিশ যৌথভাবে স্হানীয় জনগনের সহযোগিতায় পলাতক আসামী দিলীপ নাথকে গ্রেফতার করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে।এ মর্মে পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,তাকে পুলিশের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করা হবে।তবে এক আসামিকে নিয়ে যদি উত্তর জেলার পুলিশ নাকানিচুবানি খেতে হয় তাহলে বাকি মামলা ও জেলার আইনশৃঙ্খলা কোথায় গিয়ে ঠেকবে?প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।